ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো কিশোরকে কুপিয়ে জখম

নিউজ ডেস্ক: পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা ইউনিয়নের গোপেরহাট এলাকায় জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় অবস্থানকালে গুলিতে চোখ হারানো মো. ফরিদ শেখ ওরফে লাবিব (১৭) নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।
গতকাল রবিবার রাতে তার ওপর হামলা হয়।
সোমবার (৭ এপ্রিল) ফরিদের পালিত মা সালমা বেগম বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩-৪ জনকে নাম না জানা আসামি করে পিরোজপুর সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
পিরোজপুর সদর থানার ওসি মো. আব্দুস সোবাহান বলেন, “ছাত্র আন্দোলনে চোখ হারানো ফরিদ শেখকে কুপিয়ে জখম করার খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
আরও পড়ুনআহত ফরিদ শেখ পিরোজপুর সদর উপজেলার টোনা গ্রামের ইলিয়াছ শেখ ও সালমা বেগমের পালিত ছেলে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট দুপুরে ঢাকার প্রেস ক্লাব এলাকায় চোখে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। এতে তার বাম চোখ নষ্ট হয়ে যায়।
থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফরিদের সঙ্গে পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের রাজারকাঠী গ্রামের নাছির কাজীর ছেলে রাকিব কাজীর রোজার মধ্যে টোনা গ্রামের একটি মসজিদে কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় মসজিদে উপস্থিত মুসল্লিরা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এরপর থেকেই রাকিব ফরিদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। রবিবার রাতে রাকিব লোকজন নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ফরিদকে কুপিয়ে জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
আহত ফরিদ বলেন, “গত ৮ রমজান টোনা গ্রামের একটি মসজিদে নামাজের কাতারে দাঁড়ানো নিয়ে নানা বাড়িতে বসবাস করা রাকিব কাজীর সঙ্গে কথা কটাকাটি হয়। পরে বিষয়টি মসজিদের মুসল্লিরা সমাধান করে দেন। গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোপেরহাট ভাঙ্গা পুল এলাকায় একা পেয়ে রাকিবের নেতৃত্বে সিয়াম শিকদার, নাছির কাজী, শাকিল শিকদারসহ ৭/৮জন আমার ওপর হামলা করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে। তারা আমাকে কুপিয়ে এবং পাইপ ও ইট দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয় লোকজন রাত সাড়ে ১০টার দিকে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে এসে আমাকে ভর্তি করে।”
মন্তব্য করুন