রংপুরের মিঠাপুকুরে হাঁড়িভাঙ্গা আমের গুটি রক্ষা নিয়ে চাষিরা দুশ্চিন্তায়, চলছে পরিচর্যা

মিঠাপুকুর (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের মিঠাপুকুরে জিআই স্বীকৃতি পাওয়া হাঁড়িভাঙ্গা আম নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। উচ্চ তাপমাত্রায় পানি সেচ দিয়েও আমের গুটি ঝরে পড়া রোধ করা সম্ভব না হওয়ায় দুশ্চিন্তার কারণ বলে জানান চাষিরা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও হাঁড়িভাঙ্গা আম পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে গড়ে উঠা বাগানে হাঁড়িভাঙ্গা আম উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গাছে গাছে আমের গুটিতে কৃষকের স্বপ্ন দোল খেলেও, ফলন নিয়ে আতঙ্কে আছেন তাঁরা। কারণ বৃষ্টি হচ্ছে না। অপরদিকে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ঝরে পড়ছে আমের গুটি। গুটি ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় পানি সেচ, রোগ বালাই এবং কীটপতঙ্গ প্রতিরোধ করতে স্প্রে করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন, উপজেলা হাঁড়িভাঙ্গা আম পরিষদের সভাপতি খোড়াগাছ ইউনিয়নের দয়ারদান আম বাগানের মালিক আব্দুস সালাম সরকার। তিনি বলেন, এবার প্রচুর মুকুল হয়েছিল কিন্তু বিরুপ আবহাওয়ায় অধিক মুকুল ঝরে পড়েছে। তার দেওয়া তথ্য মতে উচ্চ তাপমাত্রার কারণে গুটি ঝরে পড়ছে। গাছের গোড়ায় পানি সেচ এবং রোগ বালাই ও কীটপতঙ্গ থেকে গুটি রক্ষা করতে স্প্রে করেও গুটি ঝরা বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
আরও পড়ুনতবে হালকা বৃষ্টি হলে এখনো ভাল ফলনের আশা করা যেতে পারে বলে জানান তিনি। ময়েনপুর এলাকার কৃষক রুহুল আমিন জানান, জিআই স্বীকৃতি পাওয়ায় এ বছর চাহিদা ও দাম বাড়ার আশায় আম গাছ ও আমের গুটি রক্ষায় পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। আম গাছ পরিচর্যাকারী শ্রমিক গোলাম মোস্তফা জানান, গাছে গাছে যে পরিমাণ গুটি রয়েছে এগুলো রক্ষা করা সম্ভব হলে বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল আবেদীন বলেন, এ বছর প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। তিনি তাপমাত্রা থেকে আমের গুটি ঝরে পড়া রোধে গাছের গোড়ায় পানি ধরে রাখা এবং হরমন বা কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করার পরামর্শ দেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রংপুরের ঐতিহ্য হাঁড়িভাঙ্গা আম জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে।
মন্তব্য করুন