বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ওয়াক্ফ সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানায় ব্যবহারের অভিযোগ

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারিয়াকান্দির দিদারুদ্দিন এস্টেট ওয়াকফ সম্পত্তি ব্যক্তি মালিকানা হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে গত ২৩ মার্চ দিদারুদ্দিনের বংশধর সাবেক সেনা কর্মকর্তা কর্ণেল জগলুল আহসান ওয়াকফ প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ৭০ বছর আগে উপজেলার নারচী ইউনিয়নের বাঁশগাড়ি গ্রামের মৃত দিদারুদ্দিন প্রামানিক তার ২২ বিঘা সম্পত্তি ওয়াকফ দলিল সম্পাদন করেন। দলিল অনুযায়ী এ সম্পত্তির বার্ষিক আয় তৎকালীন ৩শ’ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সম্পত্তি পরিচালনার জন্য একজন মোত্তোয়ালি নিযুক্ত করা হয়।
আয়ের ৩০০ টাকা আনুপাতিক হারে মসজিদের উন্নয়ন, বংশধরের গরীবদের সহায়তা, মসজিদ ও বাড়ির উন্নয়ন, মাতোয়ালি এবং ৭ জন নামীয় ব্যক্তির নামে অংশ বন্টন করে দেয়া হয়। বর্তমানে এ সম্পত্তির বার্ষিক আয় আনুমানিক ২ লাখ টাকা।
আরও পড়ুনঅভিযোগ অনুযায়ী ওয়াকফের শর্তানুযায়ী এটি পরিচালিত হচ্ছে না। সম্পত্তিগুলো সর্বশেষ বেশ কয়েকজন মোাত্তোয়ালির বংশধরেরা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছে। মোত্তোয়ালি মৃত ইউনুস প্রামানিকের বংশধরেরা ওয়াকফের আয় থেকে তারা নিজেদের নামে সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। মসজিদের কোনও উন্নয়ন না করে তারা আয়ের গচ্ছিত টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বংশের গরীবদেরকে আয়ের অংশ থেকে কখনোই কোনও সহায়তা করা হয়নি।
ওয়াকফের বাড়ির উন্নয়নের টাকাও আত্মসাৎ করা হয়েছে। ওয়াকফের সম্পত্তির বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে সেই ইট দিয়ে তারা নিজেদের বাড়ি তৈরির কাজে ব্যবহার করেছেন। জগলুল আহসান বলেন, ওয়াক্ফের সম্পত্তি যে যার মতো ব্যবহার করছে মৃত ইউনুস প্রামানিকের বংশধরেরা। অতি দ্রুত ওয়াকফের সম্পত্তি পুনরুদ্ধার করে উইল অনুযায়ী বন্টন করার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন