বিতর্কিত সেই আউটের তদন্তে বিসিবি

স্পোর্টস ডেস্ক : ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) গুলশান ক্রিকেট ক্লাব ও শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে এক বিতর্কিত আউট ঘিরে শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। যা নিয়ে সরব ক্রিকেটার, বিসিবি কর্মকর্তা থেকে শুরু করে ক্রিকেট সংশ্লিষ্টরা। এরই মাঝে বিতর্কিত আউট নিয়ে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে বিসিবি। পাশাপাশি এই ঘটনার তদন্ত শুরুর কথাও জানিয়েছে দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ক্রিকেটে সর্বোচ্চ নৈতিক মান এবং খেলায় সততা বজায় রাখার লক্ষ্যে বিসিবি তাদের প্রতিশ্রুতির কথা বারবার বলে আসছে। যেকোনো ধরনের দুর্নীতি অথবা অসদাচরণের বিষয়ে সবসময়ই জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে বোর্ডের। কারণ এসব ঘটনা ক্রিকেটীয় চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।এর আগে গতকাল মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিতর্কিত ম্যাচে শাইনপুকুরকে ৫ রানে হারিয়েছে গুলশান। যেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪১ ওভারে ১৭৮ রান তুলতেই অলআউট হয়েছে গুলশান। লক্ষ্য তাড়ায় শাইনপুকুর গন্তব্যের প্রায় দ্বারপ্রান্তে ছিল। শেষ উইকেটে তাদের জয় পেতে প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ঠিক তখনই অদ্ভুতভাবে আউট হয়ে ৫ রানে ম্যাচ হেরে যায় শাইনপুকুর। টিভি ফুটেজে দেখা যায়, স্ট্রাইকে থাকা ব্যাটার মিনহাজুল আবেদিন সাব্বির স্টাম্পিংয়ের শিকার হন এমন একটি অবস্থায়, যেখানে তার ব্যাট ক্রিজে প্রবেশ করার পর আবার অদ্ভুতভাবে পেছনে টেনে নেওয়া হয়। অনেকে এটিকে স্বাভাবিক ক্রিকেটীয় ভুল না বলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন। যার মধ্যে রয়েছেন ইমরুল কায়েস, শামসুর রহমান শুভ, শাহরিয়ার নাফীসরা।
এ নিয়ে বিসিবি’র অ্যান্টি-করাপশন ইউনিট (আকু) তদন্ত শুরু করেছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে, ‘আকু এবং লিগের (ডিপিএল) টেকনিক্যাল কমিটি ম্যাচে অভিযুক্ত অনিয়ম নিয়ে শিগগিরই তদন্ত শুরু করেছে। বিসিবি নিজেদের এখতিয়ারের ভেতর খেলায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তদন্তে এ নিয়ে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুনএর আগে দ্য ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিসের (সিসিডিএম) সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ বলেছিলেন, ‘আমরা দিনের সর্বশেষ উইকেটের ফুটেজটি দেখেছি। এগুলো পুরোপুরি নির্ভর করে ম্যাচ রেফারির ওপর। আম্পায়াররা তাদের ম্যাচ রিপোর্ট দেবে। এরপর একটা রিপোর্ট করবে ম্যাচ রেফারি। সেখানে যদি কোনো অভিযোগ আনার বিষয় থাকে, তখন অ্যান্টি করাপশন ইউনিট দেখবে।’
মন্তব্য করুন