জালিয়াতি করে পুলিশের চাকরি প্রদান, বগুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল কারাগারে

কোর্ট রিপোর্টার : মুক্তিযোদ্ধার সন্তান না হয়েও জালিয়াতি করে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পুলিশে চাকরি প্রদানে সহয়তা করে সরকারি ৫০ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুদক’র মামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলামের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. শাহজাহান কবির এই জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। রফিকুল সোনাতলা উপজেলার খিতাবের পাড়ার মৃত ফয়েজ উদ্দিন মন্ডলের ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) তিনি আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম (৭২) জালিয়াতির মাধ্যমে অন্যের ছেলেকে নিজ ছেলে পরিচয় দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি প্রদানে সহায়তা করেন। অথচ তার দুই মেয়ে ছাড়া আর কোন সন্তান নেই। তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ দিয়ে জালিয়াতি করে তার প্রতিবেশী মৃত জাবেত আলীর ছেলে আসামি বেলাল হোসেনকে (৪৫) নিজের সন্তান পরিচয় দিয়ে ২০০১ সালে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেতে অবৈধভাবে সহায়তা করেন। পরে ডিএমপি রমনা বিভাগের শাহবাগ ট্রফিক জোনের পুলিশের এটিএসআই বেলাল হোসেন কর্মরত থাকাকালে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় থেকে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যানের কছে অভিযোগ করলে, কমিশনের নির্দেশে অনুসন্ধন করে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। দুদক বগুড়া জেলা কার্য়ালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন মামলাটি তদন্ত শেষে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে সরকারি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৮১৪ টাকা ৪০ পয়সা আত্মসাৎ করেছেন মর্মে উল্লেখ করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুনমামলাটি পরিচালনা করেন দুদক’র পিপি এড. এসএম আবুল কালাম আজাদ ও এড. আনোয়ার হোসেন এবং আসামি পক্ষে এড. একেএম মাহবুবর রহমান।
মন্তব্য করুন