ভিডিও রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

পাবনার চাটমোহরে রসুনের বাম্পার ফলন

পাবনার চাটমোহরে রসুনের বাম্পার ফলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলের সাদা সোনা খ্যাত ‘রসুন’ এর বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে রসুনের ভালো দাম পেয়েও খুশি কৃষক। বিনাহালে রসুনের আবাদে এ অঞ্চলের কৃষকের জীবন পাল্টে গেছে। গত কয়েক বছর ধরে ধান চাষ কমিয়ে কৃষক বিনাহালে রসুনের আবাদে ঝুঁকেছেন। যেখানে উৎপাদন খরচ কম আর লাভ বেশি। বন্যা কিংবা খরার ভয় নেই। আমন ধান কাটার পর কাদা মাটিতে কোন প্রকার চাষ করা ছাড়াই রসুনের বীজ রোপণ করেন কৃষক।

চলতি বছর বাজারে রসুনের দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষক। গত বুধবার (৯ এপ্রিল) চাটমোহর নতুন বাজার নতুন হাটে প্রতিমণ রসুন বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকায়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে এই মসলা জাতীয় ফসল।

চলনবিল অঞ্চলের চাটমোহর, বড়াইগ্রাম, তাড়াশ ও গুরুদাসপুর উপজেলায় প্রতিবছরই বিনাহালে রসুনের আবাদ বাড়ছে। সাদা সোনা রসুনের এখন ভরা মৌসুম। জমিতে থেকে রসুন তোলা, সংরক্ষণ করাসহ নানা কাজে ব্যস্ত কিষাণ-কিষাণীরা। ফসলের মাঠে রোদে ঝিকিমিকি করছে রসুন।

চাটমোহরের দাঁথিয়া কয়রাপাড়া গ্রামের রসুনচাষি ইবাত আলী বললেন, একবিঘা জমিতে রসুন আবাতে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় হয়। ফলন ভালো হলে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার রসুন বিক্রি হয়। তবে কোন কোন বছর দাম কম থাকায় লাভ হয়না।

আরও পড়ুন

চাটমোহর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ৪ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে বিনাহালে রসুনের আবাদ হয়েছে। হেক্টর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৯ দশমিক ৭ মে.টন। বাম্পার ফলন ও দামে খুশি কৃষক। অর্থনৈতিকভাবে সাবলম্বী হচ্ছেন কৃষক। বদলে যাচ্ছে জীবন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জসিম উদ্দিন বলেন, বিনাহালে রসুন আবাদ করে এ অঞ্চলের কৃষক যেমন লাভবান হচ্ছেন। তেমনি কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে মসলা জাতীয় ফসল রসুন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুতুবদিয়া চ্যানেল পাড়ি প্রতিযোগিতায় প্রথম সাইফুল ইসলাম রাসেল 

সাতক্ষীরায় তরমুজের বাম্পার ফলন ও দামে খুশি কৃষক

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে জমি দখলে নিতে রোপণ করলেন গাছের চারা

নাটোরের বড়াইগ্রামে ইসরায়েল বিরোধী মিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

বিয়ের বাকবিতণ্ডার জেরে বড় ভাইকে হত্যা; পুলিশকে ডেকে আত্মসমর্পণ

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রজেক্টর ফেরত নিল শিক্ষা অফিস