সাতক্ষীরায় তরমুজের বাম্পার ফলন ও দামে খুশি কৃষক

নিউজ ডেস্ক: উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় তরমুজ চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। অল্প সময়ে বাম্পার ফলন ও দাম বেশি পাওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে এখন তরমুজ চাষ করছেন কৃষকরা। ফলন ভালো হওয়ায় দামেও বিক্রি করে খুশি কৃষকরা। জেলার মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে তরমুজের আবাদ।
জেলা কৃষি বিভাগ বলছে গত বছর জেলায় তরমুজের আবাদ হয় ৩১৫ হেক্টর জমিতে আর চলতি বছর আবাদ হয়েছে ৬১৮ হেক্টর জমিতে।
সাতক্ষীরা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অফিস সূত্রে জানা গেছে, উৎপাদন খরচ তুলনামূলক অনেক কম হওয়ায় অধিক লাভে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার আশাশুনি ও শ্যামনগর উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের কাছে তরমুজ চাষ এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। সাতক্ষীরা জেলার মাটি তরমুজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী হওয়ায় প্রতি বছর বাড়ছে আবাদ।
আশাশুনি উপজেলার তরমুজ চাষি আফসার গাজী, মানবেন্দ্র ঢালী, মাখন লাল ঢালী বলেন, পুকুরের পানি সেচ দিয়ে পাশের জমিতে ফসল করা। এভাবে পতিত জমি চাষের আওতায় এনে অধিক ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়। তরমুজের সাইজ ও সাদ খুবই ভাল। বাজারে চাহিদা ও দাম বেশি। বাজার প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।
কৃষকরা জানান, অল্প খরচ ও পরিচর্যা করেই পাওয়া যাচ্ছে ভাল ফলন। দামও বেশি পাওয়ায় খুশি কৃষকরা। তাদের দেখে এলাকার অনেক চাষি নতুন নতুন এলাকায় তরমুজ চাষ করছেন। লাভজনক হওয়ায় দিনদিন তরমুজের চাষা বেশি হচ্ছ জানান কৃষকরা।
আরও পড়ুনতরমুজ ক্ষেতে কাজ করা শ্রমিক শিফালী মন্ডল, নিতাই রায়সহ একাধিক কৃষক বলেন, তরমুজ উঠানোর সময় প্রতিদিন আমরা দৈনিক হারে ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা মজুরি পাচ্ছি। ফসল লাগানোর সময় দৈনিক মজুরি পেতাম ৩৫০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা। এতে আমাদের সংসার খুব ভালোভাবে চলছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “গত বছর জেলায় তরমুজের আবাদ হয় ৩১৫ হেক্টর জমিতে আর চলতি বছর আবাদ হয়েছে ৬১৮ হেক্টর জমিতে। অল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে তরমুজের আবাদ।”
তবে তিনি আরও বলেন, “পতিত জমি তরমুজ ও সবজী চাষের আওতায় এনে অধিক মুনাফা পাওয়ায় দিন দিন তরমুজ চাষে এলাকার কৃষকরা ঝুঁকতে শুরু করেছে।”
এদিকে কৃষকদের সরকারিভাবে সব ধরনের সহযোগিতা ও প্রক্রিয়াজাত করণের মাধ্যমে স্থায়ী বাজার সৃষ্টি করলে তরমুজের আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন