টেলিহোমের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানই ছিলো এবারের সবচেয়ে সফল আয়োজন

অভি মঈনুদ্দীন ঃ ১৯৯৫ সাল থেকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘টেলিহোম’র কর্ণধার মোঃ আলী বশীর ও তার স্ত্রী উপস্থাপিকা, নাট্যকার, নাট্যনির্দেশক শামীমা শাম্মীর পরিকল্পনায় নিয়মিতভাবে বাংলা বছরের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ বিশেষভাবে উদযাপিত হয়ে আসছে।
বিগত ত্রিশ বছরের পথচলায় শুধুমাত্র কোভিডের সময়টাতে এবং পরপর তিন বছর রোজার মাসে পহেলা বৈশাখ হওয়ায় ‘টেলিহোম’ বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করতে পারেনি। বাকী বছরগুলোতে আলী বশীর ও শামীমা শাম্মী দুজনেই ভীষণ আন্তরিকতা নিয়ে মিডিয়ার শিল্পীদের অংশগ্রহনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করে থাকেন। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরেই তারা দু’জন এই আয়োজন করে আসছেন তাই তাদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে শিল্পীরাও এই আয়োজনে অংশগ্রহন করাটাকেই বর্ষবরণ উৎসবের অন্যতম অনুষ্ঠান হিসেবেই বিবেচনা করেন। যে কারণে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানাতে এবং উৎসবে অংশনিতে সবাই টেলিহোমের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানেই অংশগ্রহন করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ১৪৩২ সালের ১লা বৈশাখও ব্যতিক্রম ছিলো না।
রাজধানীর গুলশানের জারা কনভেনশন হলে সকাল থেকেই আলী বশীর ও শামীমা শাম্মী’র নিমন্ত্রণে একে একে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন আবুল হায়াত, তার স্ত্রী শিরীন হায়াত, দিলারা জামান, রহমত আলী-জলি, চিত্রলেখা গুহ, উত্তম গুহ, তৌকীর আহমেদ, আমিন খান, মোশাররফ করিম-জুঁই, শাহনাজ খুশী, মনিরা মিঠু, মুনিরা ইউসুফ মেমী, বৃন্দাবন দাস, দিব্য সৌম্য, মীর সাব্বির-চুমকি, শাহেদ আলী দীপা, তাহমিনা সুলতানা মৌ, অর্ষা-নূর ইমরান মিঠু, বিন্দু, কণা, সুষমা, শ্যামল মাওলা, জাকিয়া বারী মম, সজল, শাহেদ-নাতাশা, নিলয়, তানিয়া বৃষ্টি, হিমি, আরশ খান, নাজনীন চুমকি, সুমাইয়া শিশু, জেবুন্নেসা টুনটুনি ও তার ছেলে নির্ঝর চৌধুরী, রাজীব সালেহীন-শর্মীমালা, মৌসুমী-শোয়েব,চয়নিকা চৌধুরী, মিম চৌধুরী, স্বাগতা, শবনম ফারিয়া, সারিকা সাবাহ, নিশাত প্রিয়ত, আলিফ চৌধুরী, মুকিত জাকারিয়া, চাঁদনী, শান্তা ইসলাম, নাসিম-রওনক, স্পর্শিয়া, মোমেনা চৌধুরী, নীরব-লিজা, শহীদ উন নবী, অনিক, শিরতাজ জেবিন, শেলী আহসান, পাপিয়া’সহ আরো অনেকে।
দুপুর ১.৩০ মিনিটে নিজের দল নিয়ে মঞ্চে উঠেন এই সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় গায়িকা কনা। মঞ্চে উঠেই তিনি তার এই সময়ের জনপ্রিয় গান ‘কন্যা’ পরিবেশন করেন। মুহুর্তেই হল ভর্তি দর্শক মঞ্চের কাছে এসে নাচে গানে মেতে উঠেন। যখন দুষ্টু কোকিল গানটি পরিবেশন করেন। তখন তার গানে কিংবদন্তী অভিনেত্রী দিলারা জামানও পারফর্ম করেন যা সবাইকে রীতিমতো অবাক ও মুগ্ধ করে। এরপর আরো বেশকিছু গান পরিবেশনার মধ্যদিয়ে কনা একক ফারফর্ম্যান্স মুগ্ধতার মধ্যদিয়ে শেষ করেন।
আরও পড়ুনদিলারা জামান বলেন,‘ এবারের আয়োজন অনেক অনেক গুছানো, পরিপাটি এবং বর্ণিল ছিলো। আমার সঙ্গে আমার ছোট মেয়ে ছিলো। বশীর ও শাম্মীর আন্তরিকতায় সবসময়ই মুগ্ধ হই। এবারও তাই হলাম।’
আবুল হায়াত বলেন,‘ টেলিহোমের এই আয়োজন সবসময়ই সুন্দর হয়। আমাদের নিজেদের মধ্যে দীর্ঘদিন পর একসঙ্গে দখো হওয়ার একমাত্র বড় উৎসবই বলা চলে বশীর-শাম্মীর এই আয়োজন। তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ।’
এই প্রজন্মের তিন জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী নিলয়-বৃষ্টি-হিমি বলেন,‘ অনেক সিনিয়র শিল্পীদের সঙ্গে কাজ ছাড়া দেখা হবার সুযোগ নেই। কিন্তু এখানে আসি মূলত তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য। মনটা ভালো হয়ে যায়। ধন্যবাদ বশীর ভাই ও শাম্মী ভাবীকে।’
মন্তব্য করুন