সাবেক মন্ত্রী তাজুলের স্ত্রীর ৩০৪ একর জমি জব্দ

সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলামের স্ত্রী মিসেস ফৌজিয়া ইসলামের ইজারা ও বায়না দলীলের বান্দরবানের ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি, ফ্ল্যাট ও ২৬টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক আবু মোহাম্মদ আনোয়ারুল মাসুদ জব্দ ও অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
এছাড়াও অবরুদ্ধের আদেশ দেয়া অস্থাবর সম্পদের তালিকায় রয়েছে ১২টি ব্যাংক হিসাব ও ১৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। ব্যাংক হিসাবে আছে ১ কোটি ৪২ লাখ ৬৪ হাজার ১৩৫ টাকা। আর ১৪টি প্রতিষ্ঠানে থাকা শেয়ারের মূল্য ৩ কোটি ১৯ লাখ ১২ হাজার ৪৮০ টাকা। এসব অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৭ হাজার ২১৫ টাকা রয়েছে।
আরও পড়ুনজব্দ করা স্থাবর সম্পদের মধ্য ঢাকার গুলশানে জমিসহ একটি ফ্ল্যাট, চট্টগ্রামের হালিশহরে চারতলা বাসার এক-তৃতীয়াংশ। এছাড়া বান্দরবানের লামা উপজেলায় ইজারা ও বায়না দলীল মূলে ৫৩টি দলীলের প্রায় ৩০৪ দশমিক ৫৯ একর জমি।
জব্দ ও অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, ফৌজিয়া ইসলামের বিরুদ্ধে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৪ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জন ও দখলে রাখা এবং তার স্বামী মো. তাজুল ইসলাম কর্তৃক অসদুপায়ে উপার্জিত অর্থ দ্বারা স্ত্রীর নামে বর্ণিত ৬ কোটি ৯০ লাখ ০২ হাজার ৪ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে সহায়তা প্রদান এবং ১১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনক ১৩ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ২০৩ টাকা জমা ও ১৩ কোটি ১৮ লাখ ৪৪ হাজার ৯৭৫ টাকা উত্তোলন সহ সর্বমোট ২৭ কোটি ১১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭৮ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক আয়ের উৎস আড়াল করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ পেনাল কোডের ১০৯ ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়। মামলা তদন্তকালে তার নামে ব্যাংক হিসাবসমূহে গচ্ছিত অর্থের তথ্য পাওয়া যায়। যা তিনি যেকোনো সময় হস্তস্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন মর্মে জানা যায়।
মন্তব্য করুন