ভিডিও শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

কর্মজীবী নারীর প্রতিদিনকার রুটিন যেমন হয় 

কর্মজীবী নারীর প্রতিদিনকার রুটিন যেমন হয় 

নিজের আলোয় ডেস্ক ঃ কর্মজীবী নারীর দৈনন্দিন রুটিন সাধারণত বেশ ব্যস্ত এবং সংগঠিত থাকে, কারণ তাদের অনেক দায়িত্ব থাকে। যেমন কর্মস্থল, পরিবারের যত্ন এবং নিজস্ব সময়ের প্রতি সচেতনতা। কর্মজীবী নারীর দৈনন্দিন রুটিন যেমন হতে পারে:

সকাল ঃ সকালে উঠে খুব দ্রুত রুটিন শুরু করা, যেমন পানি পান করা, মুখ ধোয়া, ওয়ার্কআউট বা যোগব্যায়াম করা (যদি সময় থাকে)। পুষ্টিকর নাশতা করা, যাতে দিনের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি থাকে। পরিবারের সদস্যদের জন্য সকালের খাবার প্রস্তুত করা, সন্তানদের স্কুলে পাঠানো বা অন্য কোনও দায়িত্ব পালন করা। ঘর সামান্য পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং অফিসের জন্য প্রস্তুতি নেয়া।
সকাল ৯টা- ১২টা 

কর্মস্থলে পৌঁছানো ঃ অফিস বা কাজের জায়গায় পৌঁছানো। যদি অফিসে যেতে না হয়, তবে ঘরে বসে কাজ শুরু করা। প্রথম কিছু ঘণ্টা গুরুত্বপূর্ণ বা জটিল কাজ করার জন্য ব্যবহার করা। এই সময়টা অনেকেই ফোন কল, ইমেইল চেক করে এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করেন।
দুপুর

লাঞ্চ ব্রেক: প্রায় ১-১.৫ ঘণ্টা সময় লাঞ্চের জন্য বরাদ্দ থাকে। এই সময়টা সাধারণত স্বল্প বিশ্রাম এবং খাবারের জন্য ব্যবহৃত হয়।
দ্বিতীয় শিফট: লাঞ্চের পর আবার কাজ শুরু করা, যা সাধারণত কম গুরুত্বপূর্ণ বা সৃজনশীল কাজের জন্য উপযুক্ত সময় হতে পারে।
বিকেল

কাজের শেষ পর্যায়: বিকেলে কাজের শেষ পর্যায়ে এসে সবার সাথে মিটিং বা আলোচনা, প্রজেক্ট ফলোআপ বা দৈনন্দিন কাজের অগ্রগতি নিশ্চিত করা।

পরিবারের সাথে সময়: অফিসের কাজ শেষ করার পর পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো। যদি সন্তানের যত্ন নিতে হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে খেলা বা পড়াশোনায় সহায়তা করা।
সন্ধ্যা

আরও পড়ুন

শখ বা ব্যক্তিগত সময়: অফিসের কাজের পর কিছু সময় নিজেকে দেওয়া। যেমন পছন্দের বই পড়া, টিভি দেখা বা যে কোনো শখের কাজ করা।

সন্ধ্যার খাবার: পরিবারের সঙ্গে ডিনার করা এবং একে অপরের দিন কাটানোর অভিজ্ঞতা শেয়ার করা।
রাত

পূর্ববর্তী প্রস্তুতি: পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। যেমন কাপড় নির্বাচন, অফিসের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ প্রস্তুত করা।
রাতে বিশ্রাম: দিনের শেষে বিশ্রামের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া। যেমন, ফোন বা ইন্টারনেট থেকে বিরতি নেওয়া এবং ভালোভাবে ঘুমানোর জন্য পরিবেশ প্রস্তুত করা।

কর্মজীবী নারীর দৈনন্দিন রুটিন বেশ ব্যস্ত এবং সময়ের প্রতি একান্ত নজরদারি থাকা প্রয়োজন। তবে পরিবার, স্বাস্থ্য এবং নিজস্ব সময়ের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টঙ্গীতে দুই শিশুকে কুপিয়ে হত্যার শিকার করেছে মা

ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দরে হুথির ক্ষেপণাস্ত্র হামলা 

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ এর পঞ্চম সিজন নিয়ে আসছেন অমি

একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতা আনতে জুলাই অভ্যুত্থান হয়নি: নাহিদ ইসলাম

ভাইরাল সেই ছবি নিয়ে যা জানালেন আবদুল হান্নান মাসউদ

কাল ব্যাট করার সময় দেখবে রানা কত জোরে বল করে : শান্ত