ভিডিও রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫

‘মিথ্যা মামলা’য় গ্রেপ্তার গণমাধ্যমকর্মীর বাবার মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

‘মিথ্যা মামলা’য় গ্রেপ্তার গণমাধ্যমকর্মীর বাবার মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার করা ‘মিথ্যা মামলা’য় বাংলাদেশ টাইমসের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টারের বাবাকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ ও তার মুক্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর ছেলে নাহিমুর রহমান সাকিল। আজ শনিবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাবার বিরুদ্ধে করা মামলা থেকে নাম প্রত্যাহার ও তার মুক্তির দাবি জানান তিনি।

এসময় সাকিল বলেন, গত ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় আমার বাবাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বাবার গ্রেপ্তারের পর আমরা জানতে পারি, হাতিয়ার সাবেক আওয়ামী লীগের এমপি মোহাম্মদ আলীর ক্যাডার আবুল কালাম আমার বাবাকে একটি মামলায় আসামি করেন। আবুল কালাম ২০১৮ সালের একটি ঘটনাকে টেনে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর ১ নভেম্বর আমার বাবাকে ৩৩ জনের মধ্যে ৩২ নম্বর আসামি করে মামলা করেন, যা মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা এতদিন এই মামলার বিষয়ে কিছুই জানতাম না। তাছাড়া আবুল কালাম মামলার মধ্যে আমার বাবার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও উল্লেখ করতে পারেনি।

তার বাবাকে সুপরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমার বাবা অতি সাধারণ জীবনযাপন করেন। এলাকায় আমার বাবার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও নেই। সম্প্রতি হাতিয়া বুড়িরচর ইউনিয়নের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রহমান রাফিসহ কয়েকজন নামে-বেনামে আমাদের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছে। সে পরিমাণ টাকা আমাদের কাছে নেই। টাকা দিলে তারা মামলা উঠিয়ে নেবে এমন কথা জানায়। এতে বোঝা যায় সুপরিকল্পিতভাবে আমার বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে।

মামলার বাদী আবুল কালাম এলাকায় মামলা বাণিজ্য করছেন উল্লেখ করে সাকিল বলেন, বাদী আবুল কালাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর ক্যাডার বাহিনী ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও তিনি প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের মিছিল-মিটিং করেছেন।

তার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। তার অত্যাচারে এলাকার বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা অতিষ্ঠ ছিল। সেই লোক এখন বিএনপি সেজে টাকার জন্য মরিয়া হয়ে পড়েছে। নিজেকে নব্য বিএনপি নেতা দাবি করছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী প্রেক্ষাপটে কয়েকটি মামলার বাদী হয়ে তিনি এখন বাণিজ্য শুরু করেছেন। এই আবুল কালাম আমার বাবাসহ বহু নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছেন।

আরও পড়ুন

তিনি বলেন, আমরা রাফি নামে আরেকজনের নাম জানতে পারি। এই রাফি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতা ছিল। বিগত সরকারের আমলে হাতিয়া উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি রাজ্জাকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল এই রাফি। একসময় চাঁদাবাজি করেই চলত সে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের সময়ে চাঁদাবাজি করে আয়ের টাকা এখন দুই হাতে ব্যয় করে বিএনপি ও নিরীহ লোকদের হয়রানি করছে।

রাফিদের একটি পারিবারিক ঘটনায় আমার বাবাকে তাদের পক্ষে মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তাতে আমার বাবা রাজি না হওয়ায় তার বাবা আইনজীবী হওয়ার সুবাদে পুরো চক্রটিকে ব্যবহার করে আমার বাবাকে আসামি করা হয়েছে বলে মনে করছি। তাছাড়া সম্প্রতি আমি এলাকার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও চাঁদাবাজি নিয়ে সোচ্চার থাকায় তারা আমার ওপরও ক্ষুব্ধ। আমার ধারণা, সে কারণেও আমার বাবাকে হয়রানি করা হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমি সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করব, এই মিথ্যা মামলা যেন প্রত্যাহার করা হয়। আমার বাবাসহ যারা অপরাধ না করেও মামলার আসামি হয়েছেন, তাদের নাম এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

কুয়েটে ভিসির প্রতীকী চেয়ারে আগুন দিলেন শিক্ষার্থীরা

সিলেটে বেপরোয়া  ট্রাকের চাপায় মোটরসাইকেল চালক নিহত

লক্ষ্মীপুরে ৪ জনপ্রতিনিধিসহ ৫ আ.লীগ নেতাকে আটক

প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের জন্য বড় সুখবর

জামায়াতে ইসলামী নয়, আজ আ’লীগই মানুষের অন্তর থেকে নিষিদ্ধ হয়েছে - ডা. শফিকুর রহমান

আমরা এখন ভয়ঙ্কর সময় অতিক্রম করছি - রুহুল কবির রিজভী