বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় ধাপহাটটি ইজারা না হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধার মুখে

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া পৌরসভার ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটটি ইজারা না হওয়ায় উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধার মুখে পরাসহ পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাসিক বেতন ভাতা প্রদান হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে। জানা গেছে, দুপচাঁচিয়া উপজেলা সদরে ধাপ সুলতানগঞ্জ হাটটি উপজেলাসহ উত্তরবঙ্গের একটি ঐতিহ্যবাহী বৃহৎ হাট। প্রতি বছর এই হাট থেকে দুপচাঁচিয়া পৌরসভা ৮ কোটির অধিক টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে।
গত বছর (১৪৩১ সালে) এই হাটটি ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা ইজারা প্রদান করা হয়েছিলো। চলতি বাংলা ১৪৩২ সনের জন্য গত ২৮ জানুয়ারি দুপচাঁচিয়া পৌরসভা থেকে স্থানীয় পত্রিকায় ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। পরপর চারটি তারিখে হাট ইজারা দরপত্র আহ্বান করা হলেও পরপর তিন পর্যায় কেউ অংশগ্রহণ করেনি। চতুর্থ পর্যায়ে বগুড়া শেরপুরের ইজারাদার স্বাধীন কুমার কুন্ডু ৫ কোটি টাকায় ইজারা নিতে অংশগ্রহণ করেন।
দুপচাঁচিয়া পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ কামরুল হাসান জানান, সরকারি মুল্যের চেয়ে প্রায় ৩ কোটি টাকা কম হওয়ায় ইজারা দরপত্রটি বাতিল করা হয়। ইউএনও শাহ্রুখ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হাট-বাজার ইজারা দরপত্রটি বাতিল করে স্থানীয় পত্রিকায় পুনরায় হাট-বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এবার পরপর ৭ পর্যায়ে দরপত্রের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামি ২৮ এপ্রিল প্রথম পর্যায় থেকে শুরু করে ১১ আগস্ট দরপত্রের ইজারার সপ্তম পর্যায় শেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়।
একই সাথে তিনি জানান, বাংলা ১৪৩২ সনে সরকারি দরে ইজারাদার না পাওয়ায় পহেলা বৈশাখ থেকে হাটের টোল খাস কালেকশন হিসাবে উত্তোলনের সিদ্ধান্ত হয়। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ কামরুল হাসানকে আহ্বায়ক করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট খাস কালেকশন কমিটি গঠন করা হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে এই কমিটির মাধ্যমে খাজনা আদায় প্রক্রিয়া শুরুও হয়েছে। এদিকে পৌরসভার রাজস্ব আয়ের একটি বড় মাধ্যম ধাপসুলতানগঞ্জ হাট।
আরও পড়ুনএই হাটের আয় থেকে পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাসিক বেতন বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ আর্থিক সাহায্য প্রদানসহ পৌরসভার সকল কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে থাকে। চলতি বছরে হাটটি ইজারা দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় পৌরসভার উন্নয়ন কর্মকান্ড বাঁধার মুখে পরাসহ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাসিক বেতন ভাতা প্রদান হুমকির মুখে পরতে যাচ্ছে।
বিগত বছরে হাট-বাজার ইজারাদারের পক্ষে আবু সাঈদ ফকির জানান, বিগত বছরগুলোতে হাটটি ইজারা নিয়েছেন। অনেক সময় জোর করে খাজনা আদায় করেছেন। প্রশাসনের অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। এরপরেও এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। জবাবদিহিতার মধ্যে থাকতে হয়। তাই বেশি দামে হাট ইজারা নিলে ক্ষতির আশংকায় সরকারি মুল্যের চেয়ে কম মুল্যে ইজারায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মন্তব্য করুন