বগুড়া থেকে ভারতে সেন্ট্রিফিউজিক্যাল পাম্প রপ্তানি কমেছে, রাইসব্রান রপ্তানি বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়া থেকে সেন্ট্রিফিউজিক্যাল পাম্প রপ্তানি কমে গেলেও চলতি বছরে বগুড়ায় পাটজাত পণ্যে রপ্তানিতে আয় বেড়েছে। এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বগুড়া থেকে ৩ কোটি ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪০ ডলারের পণ্য ভারত ও শ্রীলংকায় রপ্তানি করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০২৪ সালে রপ্তানি আয় থেকে এসেছে ৫ কোটি ১৭ লাখ ৬১ হাজার ৮৮০ ডলার।
বগুড়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের শুরু থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বগুড়া থেকে যে পণ্য রপ্তানি হয়েছে তার মধ্যে রাইসব্রান ওয়েল রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২ কোটি ২৪ লাখ ৯ হাজার ৮০০ ডলার। অন্যদিকে পাটজাত দ্রব্য রপ্তানি থেকে এসেছে ৮ কোটি ৫২ লাখ ১ হাজার ৫৭৮ কোটি ডলার। পানির পাম্প রপ্তানি থেকে এসেছে ৪২ হাজার ৮১১ ডলার।
আগের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাবদ আয় হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ ডলার। রাইসব্রান ওয়েল রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার ৭৮১ ডলার। এবং ২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৮২ ডলারের সেন্ট্রিফিজিউক্যাল পাম্প রপ্তানী করে হয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালে বগুড়া থেকে সেন্ট্রিফিউজিক্যাল পাম্প রপ্তানি করা হয়েছে ২লাখ ৪৬ হাজার ৫৮৭ ডলার। ওই বছর পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার ৮৩ ডলারের। আর রাইসব্রান ওয়েল রপ্তানি হয়েছে ৩ কোটি ৮০ লাখ ২১ হাজার ৮৭৫ ডলারের।
২০২৩ সালের পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে সেন্ট্রিফিউজিক্যাল পাম্প রপ্তানি কমেছে। একই ভাবে কমেছে রাইসব্রান ওয়েল রপ্তানি। বগুড়া চেম্বার সূত্র বলছে আগে বগুড়ার সেন্ট্রিফিউজিক্যাল পাম্প রপ্তানি আরও বেশি হতো। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী শহরগুলোতে বগুড়ার পাম্প চলতো।
আরও পড়ুনএখন ভারতেই ওয়ার্কসপ গড়ে উঠেছে। তাছাড়া চায়না থেকে আমদানি হচ্ছে। ফলে বগুড়ার পাম্প রপ্তানি কমে গেছে। এই সূত্র রাইসব্রান ওয়েল সম্পর্কে জানান, বর্তমানে রাইসব্রান ওয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাইসব্রান ওয়েল নতুন করে আর চুক্তি হচ্ছে না। আগে যে চুক্তি ছিলো সেই মোতাবেক যাচ্ছে। তবে পাটজাত পণ্য রপ্তানি স্বাভাবিক রয়েছে।
এদিকে ২০২৩ সালের পর গত বছর বন্ধ থাকলেও এবছর শ্রীলংকায় আলু রপ্তানি করা হয়েছে। ২০২৩ সালে ২ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ ডলারের আলু রপ্তানি করা হয়েছিলো । এবছর ২ লাখ ৬৩ হাজার ২৫০ ডলারের আলু রপ্তানি করা হয়েছে।
বগুড়া চেম্বারের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সাইরুল ইসলাম জানান, আগামী দিনে বগুড়া থেকে পণ্য রপ্তানি আরও বাড়বে। বর্তমানে রপ্তানি কিছুটা স্থবির হলেও ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। বগুড়ার অনেক পণ্য বগুড়া চেম্বারের বাইরেও ঢাকা হয়ে বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে।
মন্তব্য করুন