বগুড়ার ধুনটে দুই দপ্তরের সমন্বয়হীনতায় জ্বলে না সড়কবাতি, চলাচলে ভোগান্তি

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনট পৌরসভা ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সমন্বয়হীনতার কারণে শহর এলাকায় ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত সড়কবাতি জ্বলে না। এর ফলে বিভিন্ন যানবাহনসহ পথচারীদের সন্ধ্যা থেকে ভোররাত পর্যন্ত অন্ধকারের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হয়। আলোর স্বল্পতার কারণে যেকোনও সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা।
পৌরসভা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২০০১ সালে স্থাপিত ৫.৯২ বর্গকিলোমিটার আয়তনের পৌরসভায় লোকসংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। পৌর এলাকায় ৩৫ লাখ ৯ হাজার ৬৯৮ টাকা ব্যয়ে ২ হাজার ২৪০ মিটার দৈর্ঘ্য বিদ্যুৎ চালিত সড়কবাতির লাইন নির্মান করা হয়। বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে নবনির্মিত এই লাইনে ৮১টি সড়কবাতি রয়েছে। কাগজে কলমে এই প্রকল্পের কাজ ২৮ জানুয়ারি শেষ করা হয়েছে । তবে বাস্তবে প্রায় এক মাস আগে কাজ শেষ করে কয়েক দিন সড়কবাতি জ্বালানো হয়েছে। তারপর থেকে সড়কবাতি আর জ্বলে না।
পৌরসভার নাগারিক সোহেল রানা, আমিনুল ইসলাম, রাসেল মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন বলেন, কয়েক দিন ধরে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা সড়কবাতি গুলো জ্বলে না। বিষয়টি পৌরবাসির জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং ঝুঁকিপূর্ণ।
ধুনট পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজিদি হক বলেন, শহর এলাকায় বিদ্যুতের নবনির্মিত লাইনের কাজ গত মাসে শেষ করা হয়েছে। কিন্ত পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ নতুন লাইনে ত্রুটির কথা বলে সংযোগ না দেওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে এ সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আরও পড়ুনএ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ধুনট জোনাল অফিসের ডিজিএম কামাল পাশা বলেন, পৌর এলাকায় নবনির্মিত সড়কবাতির লাইন নির্মানে ত্রুটি রয়েছে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করা হলে দুর্ঘটনার শংঙ্কা রয়েছে। এ কারণে পৌর কর্তৃপক্ষকে লাইন ঠিক করতে বলা হয়েছে। লাইন ঠিক করা হলেই বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
ধুনট পৌরসভার প্রশাসক ও সহাকারী কমিশনার (ভূমি) খায়রুজ্জামান বলেন, সড়কবাতি প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ হয়নি। তবে মাঝে মধ্যে পরীক্ষামুলকভাবে সড়কবাতি গুলো জ্বালানো হয়। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
মন্তব্য করুন