‘বরবাদ’ দেখে অপূর্ণ শখের কথা জানালেন শাকিব

বিনোদন ডেস্ক : অবশেষে ‘বরবাদ’ মুক্তির ২২তম দিনে সিনেমা হলে এসে হাজির হলেন শাকিব খান। সোমবার রাজধানী উত্তরার স্টার সিনেপ্লেক্সে হয়ে গেল বরবাদ সিনেমার স্পেশাল শো। শাকিব জানান, বাসায় সিনেমা নিয়ে তার অনেক টেনশনে থাকেন। বাসায় বসে বসে সিনেমার রিভিউগুলো পড়েন। দর্শকদের ভালোলাগা মন্দ লাগার বিষয়গুলো জানেন।
বিশেষ প্রদর্শনীতে শাকিব খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সিনেমাটির প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি, মেহেদী হাসান হৃদয়, ইন্তেখাব দিনার, বিজরী বরকতউল্লাহ, পরিচালক শিহাব শাহীন, দীঘি, সুনেরাহ বিনতে কামাল, আরশ খান, ইমন, কণ্ঠশিল্পী কোনালসহ অনেকে। গণমাধ্যমের সামনে নায়ক শাকিব খান বলেন, দর্শক সিনেমাটাকে এত ভালোবাসা দিচ্ছে, যা সত্যি অতুলনীয়। এত মানুষের ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। নতুন ছবির শুটিংয়ের কারণে সময় করতে পারিনি। আজ অবশেষে আসতে পারলাম।’
বরবাদ সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন মেহেদি হাসান হৃদয়। এটি তার প্রথম সিনেমা। বিশেষ শোতে শাকিব খান উপস্থিত হওয়ার আগেই চলে আসেন তিনি। সঙ্গে আসেন সিনেমার প্রযোজক শাহরিন আক্তার সুমি। সিনেমা হলে আসতে না আসতেই ক্যামেরার ঝলক ঘিরে ধরে তাদের। এ সময় তারাও বরবাদের সাফল্যে উচ্ছ্বাসের কথা জানান। পরে অপেক্ষা করতে থাকেন শাকিব খানের। দেশের শীর্ষ নায়ক আসতেই হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্যামেরা।
আরও পড়ুনএ সময় সিনেমা নিয়ে শাকিব খান তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা জানিয়ে বলেন, ‘আমি একসময় স্বপ্ন দেখতাম, দেশের মাল্টিপ্লেক্সে আমার ছবি চলবে, দেশের বাইরে বলিউড, হলিউড সিনেমার পোস্টারের পাশে আমার দেশের সিনেমার পোস্টার থাকবে। গত দু-তিন বছরে কিন্তু সেটাই হচ্ছে। দেশে-বিদেশে সবখানে আমার দেশের সিনেমা মানুষের মন জয় করছে। আমার শখ কিন্তু এখনো পূরণ হয়নি, আরো অনেক কিছু করা বাকি আছে।
আপনারা হয়তো ভাবছেন, বরবাদ লাস্ট সিনেমা, যেটা ১০০ কোটিতে গিয়ে পৌঁছাবে। এটা শেষ নয় বরং শুরু। গত বছর তুফান দেখেছি, ভালো বিজনেস করেছে। এ বছর বরবাদ এলো, তার চেয়েও ভালো বিজনেস করল। আগামীতে যেই সিনেমাগুলো আসবে, ইনশাআল্লাহ সেগুলো আরো ভালো করবে। ইতিমধ্যে আমার এই দুই প্রযোজক নতুন সিনেমার গল্প নিয়ে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। সেই গল্পের কাছে বরবাদ অনেক ছোট মনে হবে।’ উদাহরণ টেনে শাকিব খান আরও বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এক সপ্তাহে একটি সিনেমা ১০০ কোটির ব্যবসা করেছিল, সেটা তাদের জন্য বিরাট ব্যাপার ছিল। কিন্তু যারা সিনেমা তৈরি করেছেন, তাদের লক্ষ্য ছিল এক হাজার কোটি। এখন দেখা যায়, পাশের দেশের সিনেমাগুলো হাজার কোটিতে না পৌঁছলে সুপারহিটই ঘোষণা করা হয় না।’
মন্তব্য করুন