চট্টগ্রামের জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর শুক্রবার

নিউজ ডেস্ক: বন্দরনগরী চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে আগামী শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহাসিক আবদুল জব্বারের বলীখেলার ১১৬তম আসর ।
বলী খেলার মূল পর্ব অনুষ্ঠিত হবে বিকেল ৪ টায় ।
আগামী বৃহস্পতিবার লালদিঘীর পাড় ঘিরে তিন দিনের বৈশাখী মেলা শুরু হবে। এবারের বলী খেলার পৃষ্টপোষক গ্রামীণ ফোন।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর লালদিঘীর পাড় সিটি করপোরেশনের পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব, আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯০৯ সাল থেকে চট্টগ্রামে লালদিঘীর ময়দানে জব্বারের বলী খেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক আবদুল জব্বার সওদাগর এই বলী খেলার প্রবর্তন করেন। এবার অনুষ্ঠিত হবে বলী খেলার ১১৬ তম আসর। বলী খেলায় অংশ নিতে বিভিন্ন জেলা থেকে বলীরা রেজিস্ট্রেশন শুরু করেছেন। এরমধ্যে দেড়শতাধিক বলী যোগাযোগ করে তাদের নিবন্ধন নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুনসংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বলী খেলা ও মেলাকে কেন্দ্র করে যেন কোন ধরনের জুয়া, চাঁদাবাজির মতো ঘটনা যেন না ঘটে এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ এ ব্যাপারে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ২৫ এপ্রিল বিকেলে বলী খেলার উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ। সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে ট্রফি ওপুরস্কার তুলে দিবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন বলীখেলার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা।
বলী খেলার প্রবর্তক আবদুল জাব্বার সওদাগরকে নিয়ে গবেষণা, লালদীঘি চত্বরকে আবদুল জব্বার সওদাগরের নামে নামকরণ, বলী খেলা চর্চার একাডেমি প্রতিষ্ঠা, আবদুল জব্বার সওদাগরকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান ও ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধি নিয়ে শক্তিশালী পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মোহাম্মদ মোরশেদ আহমেদ বলেন, “জব্বারের বলী খেলার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় আয়োজনে অংশ হতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত। এর আগেও আমরা এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক ছিলাম। আমরা স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এমন আয়োজনের পাশে থাকতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন।”
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বলীখেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও প্রধান বিচারক হাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্যসচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ, গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মোহাম্মদ মোরশেদ আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন