ভিডিও বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জাকিরুলের সবজি চাষেই বাজিমাত

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে জাকিরুলের সবজি চাষেই বাজিমাত। ছবি : দৈনিক করতোয়া

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে পড়াশোনা শেষে চাকরির পেছনে না ঘুরে সবজি চাষ করেই সফল হয়েছেন জাকিরুল ইসলাম। তিনি উপজেলার ফুলবাড়ী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা। ১১ বিঘা জমিতে তিনি বিভিন্ন জাতের সবজির চাষাবাদ করেছেন। শুধুমাত্র করলা বিক্রি করছেন প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকার।

জাকিরুল ইসলামের সবজি বাগানের করলার মাচায় দুলছে সারি সারি করলা। কোনও সবজি ক্ষেতে ধরে আছে বিভিন্ন প্রজাতির তরমুজ। কোথাও বেগুন আবার কোথাও ঢ্যাঁড়স। কোথাও আবার গাছভর্তি ধরে আছে কাঁচামরিচ। পটলের মাচাতেও দুলছে সারি সারি পটল। গত ঈদুল ফিতরের দুই দিন আগে থেকে তিনি তার সবজির ক্ষেত থেকে করলা উত্তোলন শুরু করেছেন। প্রতিদিন তার সবজির বাগান থেকে ৮ থেকে ১২ মণ পর্যন্ত করলা বিক্রি করছেন। বাজারে প্রতিমণ করলা তিনি ১৬শ’ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

সে হিসেবে প্রতিদিন তার শুধুমাত্র করলা বিক্রি থেকেই ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘরে উঠছে। তরমুজ বিক্রি থেকেও তিনি ভালো আয় করেছেন। তরমুজের জমিতে এখন শশার বীজ বপণ করেছেন। তবে এই ১১ বিঘা সবজির বাগানে তার ১৫ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। জাকিরুল ইসলামের ১১ বিঘার সবজির বাগানে প্রতিদিন ৮ থেকে ১২ জন শ্রমিক কাজ করছেন। তিনি এইচএসসি পাশ করার পর চাকরির পেছনে না ঘুরে প্রথমে ডেকোরেটর ব্যবসা শুরু করেন।

সেখানে তিনি বেশ ভালো সফলতা পেয়েছেন। করোনাকালীন ডেকোরেটর ব্যবসায় ভাটা পরলে তার মাথায় আসে কৃষি কাজের কথা। ইউটিউব ঘেঁটে তিনি কৃষি কাজের বেশকিছু কৌশল আয়ত্ত করেন। এরপর শুরু করেন কৃষি কাজ। প্রথমে ছোট পরিসরে শুরু করলেও এখন অন্যের জমি লিজ নিয়ে তিনি প্রায় ১১ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে শুরু করেছেন চাষাবাদ।

আরও পড়ুন

সবজি বাগানের শ্রমিক সঞ্জু সরকার বলেন, জাকিরুল ভাইয়ের সবজির বাগানে আমরা প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১২ জন পর্যন্ত কাজ করছি। প্রতিদিন যা মজুরি পাচ্ছি তা দিয়ে আমাদের সংসারে যাবতীয় খরচ মোটামুটি ভালোভাবেই চলছে।

জাকিরুল ইসলাম বলেন, মালচিং পদ্ধতিতে আমি সবজি চাষাবাদ করছি। এতে আমি মোটামুটি সফল হয়েছি। প্রথমে মালচিং এবং মাচা তৈরি করতে একটু খরচ বেশি হয়েছে। তবে একবারের মালচিং থেকে আমি তিনটি করে ফসল ফলাচ্ছি এবং একই মাচায় এক জাতের ফসল শেষ হলে অন্য জাতের ফসল আবারো শুরু করছি। প্রথম ফসলেই আমার খরচের টাকা মোটামুটি উঠে আসবে। তার পরের ফসলগুলোতে আমার মুনাফা ঘরে আসবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ বলেন, উপজেলার বেশকিছু শিক্ষিত যুবক বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের সবজির আবাদ শুরু করেছেন এবং তারা সফল হয়েছেন। যুবকরা চাকরির পেছনে না ঘুরে যদি বিভিন্ন ফসলাদি চাষ করেন তাহলে আমাদের দেশে বেকার যুবকের সংখ্যা দিন দিন কমতে থাকবে। অপরদিকে দেশে সবজির মূল্যও আনুপতিক হারে সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিনামূল্যে ১০০ জনের থ‍্যালাসেমিয়া টেস্ট করালো "বাঁধন" জবি ইউনিট

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীর ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি রবি গ্রেফতার

খরস্রোতা ধরলা-বারোমাসিয়া নদীর বুকে বোরো ও ভুট্টাক্ষেতে সবুজের সমারোহ

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পার্টনার ফিল্ড স্কুলে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে চাষাবাদে সুফল পাচ্ছে চাষিরা

বগুড়ার শেরপুরে গাছ পড়ে ভেঙে গেছে ঘর, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলো দুই শিশু

বগুড়ার ধুনটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের প্রতিবাদে কসাইখানায় মাংস বিক্রি বন্ধ