ভিডিও বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

বিসিবি’র চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত এলিট আম্পায়ার সৈকতের

বিসিবি’র চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত এলিট আম্পায়ার সৈকতের,ছবি: সংগৃহীত।

স্পোর্টস ডেস্ক : বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আইসিসি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে বিন সৈকত। ফলে এখন থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে আর আম্পায়ারিং করবেন না আইসিসি’র এলিট প্যানেলে জায়গা পাওয়া বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। বিসিবি’র একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এটি নিশ্চিত করেছে। 

জানা গেছে, মূলত মোহামেডান অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের শাস্তি কমাতে বাইলজ পরিবর্তনে ক্ষুব্ধ হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সৈকত। এর আগে একই কারণে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনিও পদত্যাগ করেন। ঘটনার সূত্রপাত ঘটে প্রিমিয়ার লিগের প্রথম পর্বে আবাহনীর বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচে। সে ম্যাচে শরফুদ্দৌলা অবশ্য মূল দৃশ্যে ছিলেন না। মোহামেডানের ইবাদত হোসেনের বলে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এলবিডব্লিউ’র আবেদনে সাড়া দেননি। যার ফলে প্রতিবাদ করেন ক্ষুব্ধ মোহামেডান ক্রিকেটাররা। এরপর বিষয়টি মীমাংসা করতে এসেছিলেন সৈকত, তার সঙ্গেও তর্কে লিপ্ত হন সবাই। এরপরের দিন সংবাদমাধ্যমে করা মন্তব্য আমলে নেয়ার পর টেকনিক্যাল কমিটির টেবিলে তাওহীদের ভাগ্যে যোগ হয় বাড়তি ৪ ডিমেরিট পয়েন্ট। এতে নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে ২ ম্যাচ আর ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় মোহামেডান অধিনায়ককে। ফলে সুপার লিগে প্রথম দুই ম্যাচে একাদশের বাইরেই থাকতে হতো হৃদয়কে। কিন্তু দেখা যায় দ্বিতীয় ম্যাচে অগ্রণী ব্যাংকের বিপক্ষে মাঠে নেমেছেন তিনি। তখন এ নিয়ে কৌতুহল দেখা দেয় কারণ, শাস্তি কমানো নিয়ে বিসিবি কোনো বিবৃতিও দেয়নি।

পরে জানা যায়, হৃদয়ের শাস্তি কমাতে ডিপিএল’র বাইলজই পাল্টে ফেলা হয়েছে। যেখানে ৪ থেকে ৭ ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটা এক ম্যাচ করা হয়েছে। এতেই ক্ষুব্ধ হন সৈকত। তিনি নিজে কোনো মন্তব্য করতে না চাইলেও, বিসিবি’র একটি সূত্র জানিয়েছে সৈকত সরাসরি বলেছেন তিনি এই অন্যায় সহ্য করে আম্পায়ারিং করবেন না। 

হৃদয় শাস্তি কমানোর জন্য টেকনিক্যাল কমিটির কাছে একটি চিঠি দেন। তবে এটি তাদের এখতিয়ারের মধ্যে পড়ে না উল্লেখ করে সেই চিঠির জবাব দেয়নি টেকনিক্যাল কমিটি। পরে তাদের উপেক্ষা করেই বিসিবি’র আম্পায়ারস বিভাগ নিষেধাজ্ঞা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়। অথচ আম্পায়ারস বিভাগের এই এখতিয়ার নেই। শাস্তি কমাতে পারে শুধু সিসিডিএম ও টেকনিক্যাল কমিটি। 

আরও পড়ুন

এর আগে একই ঘটনায় পদত্যাগ করেন টেকনিক্যাল কমিটির প্রধান এনামুল হক মনি। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন, ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।’ 

 

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

৮ বছরেও সংস্কার হয়নি দেড় কি.মি. ভাঙা বাঁধ

বগুড়ায় ট্যাংকলরি উল্টে সড়কে ছড়িয়ে গেল ফার্নেশ ওয়েল

বগুড়ায় অসুস্থ বিএনপি নেতাদের খোঁজ খবর নিলেন ভিপি সাইফুল

ফেনীতে হাত-পা বিচ্ছিন্ন করে বিএনপি কর্মীকে হত্যায় গ্রেপ্তার ৫ 

বগুড়ার কাহালুতে ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে অজ্ঞাত যুবকের মৃত্যু

ইসলামী ছাত্রশিবির একটি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায় - দিনাজপুরে শিবির সভাপতি