৮ বছরেও সংস্কার হয়নি দেড় কি.মি. ভাঙা বাঁধ

পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ি বাঁধের একটি অংশ নদী গর্ভে বিলীনের ৮ বছরেও তা নির্মাণ হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের দাবি, বর্ষা মৌসুম আসার আগেই বাঁধ সংস্কার করা হোক।
জানা যায়, গাইবান্ধার পাউবোর অধীনে পলাশবাড়ী উপজেলার ত্রিমোহনী আমবাগান বাঁধ থেকে টোংড়াদহ পর্যন্ত করতোয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ প্রায় ৩৬ বছর আগে বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। বাঁধের ভেঙে যাওয়া দুই অংশে সংস্কার অভাবে পলাশবাড়ীর কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের টোংড়াদহ পশ্চিমে কিশোরগাড়ী গড়পাড়া কাছারী দিঘি থেকে মালেক উদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
ওই গ্রামের দক্ষিণ পাশে সুলতানপুর ঘাট থেকে যেহেরাবুর হাসানের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় ৩শ’ গজ বাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে অন্তত ৫০টি পরিবারের বসতবাড়ি, মসজিদ, মক্তব-মাদ্রাসা নদী গর্ভে গেছে।
কিশোরগাড়ী সুলতানপুর বালুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ওয়াদুদ মিয়া, কাদের সরকার, মোশারফ হোসেন, আব্দুর রহিম মিয়া, আশকর আলী জানান, তাদের গ্রামের এই দুটি জায়গা ৭-৮ বছর হচ্ছে বাঁধটি ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কিন্তু বাঁধটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। বর্ষা এলেই এই ভাঙা বাঁধের মুখ দিয়ে এ ইউনিয়নের তেকানি, কিশোরগাড়ী, চকবালা, নলডাঙা, বড় শিমূলতলা, কাশিয়াবাড়ী, পশ্চিম মির্জাপুর, প্রজাপাড়া, সুলতানপুর বাড়াইপাড়া, সগুনা, জাফর, মুংলিশপুর, গনকপাড়া, হাসানখোর, পশ্চিম রামচন্দ্রপুর, জাইতর, কেশবপুর, বুজরুক টেংরাসহ ১৬-১৭টি গ্রামে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়।
আরও পড়ুনবাঁধ ভেঙে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় ভিটামাটি ছাড়তে হয়েছে কিশোরগাড়ী গ্রামের শফিউল ইসলাম, জব্বার মিয়া, শাহারুল ইসলাম, এরশাদ মিয়া, নান্নু মিয়া, মোকছেদ আলী, মনছুর আলী, আশাদুল, আফজাল হোসেন, ফরিদুল, হযরত, বাবুমিয়া, হাফিজার রহমান, নাজমুল, জলিল, মাফু মিয়া, সরাব আলী, হারুন, সোনাভান, জামিরুল, হামিদুল, লালমিয়া, ছাত্তার, উপেন, গোপাল, উত্তম, গউর, সতিশ, সুধীরসহ। গাইবান্ধার পলাশবাড়ী ভাঙা বাঁধ সংস্কার না হওয়ায় দুর্ভোগ, বর্ষার আগেই সংস্কারের দাবি এলাকাবাসীর ৩৬ বছর আগে নির্মাণ করা হয় বাঁধটি বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে প্লাবিত হয় ১৬-১৭টি গ্রাম বাঁধ সংস্কারের আশ্বাস উপসহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হকের আরও অনেককে।
পলাশবাড়ী পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর সংশ্লিষ্ট উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক জানান, ওই সব স্থান পরিদর্শনের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ করা হবে। তবে এ অর্থ বছরে কাজ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পলাশবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কামরুল হাসান জানান, আমি ইতোমধ্যে বিষয়টি জেনেছি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবহিত করেছি। আগামী বর্ষা আসার আগেই আলোচনা করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন