কক্সবাজারে ১২ হাজার একর ভূমি ফেরত পাচ্ছে বন বিভাগ: রিজওয়ানা

বিভিন্ন সংস্থার নামে বরাদ্দ দেওয়া কক্সবাজারের প্রায় ১২ হাজার একর ভূমি বন বিভাগের কাছে ফেরত দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি বলেছেন, “কক্সবাজারের নদী, বনভূমি ও সি-বিচ দখল ও দূষণমুক্ত করা হবে। প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকাতে (ইসিএ) অনুমতি ছাড়া কোনো কিছু নির্মাণ করা যাবে না। পরিবেশ অধিদপ্তর, বন বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া কোনো সরকারি বা বেসরকারি নির্মাণ বিবেচনায় নেওয়া হবে না।”
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল ) কক্সবাজারের বাকখালী নদীর তীরে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় পরিদর্শনের পর তিনি এ কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বিধি লঙ্ঘিত হলে তা আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে। সি-বিচ দখল ও দূষণের লাগাম এখনই না টানলে এটি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তিতে পরিণত হবে। এটা হতে দেওয়া হবে না।”
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের পাশে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমির জন্য বনভূমির ৭০০ একর জমির বরাদ্দ গত বছর বাতিল করা হয়।
সেই প্রসঙ্গ টেনে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, “কক্সবাজারের ৭০০ একর বনভূমি ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। এক ব্যক্তি ১৫০ একর বনভূমিতে বিল্ডিং নির্মাণ করছে, সেটিও বন্ধ করা হচ্ছে।
“ফুটবল একাডেমির জন্য বরাদ্দ ২০ একর জমি ফেরত আনা হচ্ছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর ৫১ একর জমি উদ্ধারে জেলা প্রশাসককে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সোনাদিয়া দ্বীপে বেজার জন্য বরাদ্দকৃত জমিও বন বিভাগের আওতায় ফেরত আনার প্রক্রিয়া চলছে।”
আরও পড়ুনএ সময় নৌউপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বাঁকখালীকে দখলমুক্ত করতে যা করা প্রয়োজন, তাই করা হবে।
ভালো হবে- যারা দখল করেছেন, তারা যদি নিজেরা সরে যান। তাহলে ক্ষতি হবে না। যেখানে আদালতের স্টে অর্ডার আছে, সেগুলো ছাড়া বাকিগুলো দখলমুক্ত করব। এখানে আর কোনো প্রশ্ন নাই।
কক্সবাজার শহরের প্রধান নদী বাঁকখালীর জায়গা দখল ও প্যারাবন ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে ১ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসন অভিযান চালিয়ে কিছু স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তা আরও বাড়তে থাকে। কক্সবাজারের একসময়ের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র কস্তুরাঘাট এখন আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে।
দখলের কারণে কক্সবাজারে নদীবন্দর করা যাচ্ছে না মন্তব্য করে সাখাওয়াত বলেন, “স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে- নদীর সীমানা নির্ধারণ করার পর উচ্ছেদ শুরু হবে। নদীবন্দর যে করব, তার জন্য নদী তো লাগবে।"
আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু হবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন