ভিডিও

জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে নিহতদের মধ্যে ৪২২ জন বিএনপি’র : ফখরুল

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৩:৩৩ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে সবশেষ শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে জুলাই-আগস্টে দেশজুড়ে আন্দোলনে ৮৭৫ জন নিহত হয়েছেন বলে একটি মানবাধিকার সংস্থার প্রতিবেদনে জানানো হয়। এর মধ্যে ৪২২ জন বিএনপি’র নেতাকর্মী বা সমর্থক বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

আজ রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলন হঠাৎ করে গড়ে উঠেনি। এটি বহু বছরের নির্যাতন, নিপীড়ণ ও ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়।

বিএনপি’র দীর্ঘদিনের নিরবচ্ছিন্ন পরিক্রমা। এখানে বিএনপি’র অবদান খাটো করার কোনো অবকাশ নেই। এসময় আন্দোলনের কৃতিত্ব নয়, স্বৈরাচার পতন নিশ্চিত করাই বিএনপি’র লক্ষ্য ছিল বলে মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, এ বিজয়ের পেছনে রয়েছে অসংখ্য নির্যাতিত মানুষের বেদনার অপ্রকাশিত ইতিহাস, গুম হওয়া ছেলের ফেরার প্রতীক্ষায় ব্যাথাতুর মায়ের ডাক, স্বামী হারানো বেদনাবিধূর স্ত্রীর অনন্ত আর্তনাদ, পঙ্গু বাবার জন্য সন্তানের হৃদয়বিদারক হাহাকার, আর কারাগারে বন্দী ভাইয়ের জন্য বোনের নীরব প্রার্থনা। তাদের সবার ১৬ বছরের রক্ত, শ্রম ও অশ্রু দিয়ে, প্রতিটি পরিবারের ক্ষোভ, ক্রোধ ও অব্যক্ত বিস্ফোরণ বুকে ধারণ করে; চলমান ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই।

মির্জা ফখরুল বলেন, বস্তুত ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ৪২২ জন, ২০২৩ সাল পর্যন্ত শহীদ এক হাজার ৫৫১ জন, গুম ৪২৩ জন (সব রাজনৈতিক দল ও সাধারণ মানুষ মিলিয়ে প্রায় ৭০০ জন), আসামি ৬০ লাখ এবং মামলা দেড় লাখ।

এসব কেবল বিএনপি’র ত্যাগের পরিসংখ্যানই নয়, বরং বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জনের পথে দলটির অবিচল সংগ্রাম ও অবদানের প্রতিফলন।

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS