ভিডিও

শিবির ট্যাগ লাইন দেওয়ার প্রশ্নে কী বললেন ঢাবি শিবিরের সেক্রেটারি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৭:২৫ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ০৭:২৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে ছাত্র শিবিরকে বাধা হিসেবে দেখেছিল উল্ল্যেখ করে সাংবাদিকদের উদ্দ্যেশ্যে  ইসলামী ছাত্র শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বলেন, সত্যি মিথ্যা যাচাই করার দায়িত্ব সাংবাদিকদের। আপনারা নিরপেক্ষভাবে সত্যি তুলে ধরবেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাবির টিএসসিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

 
ঢাবি শিবির সেক্রেটারি বলেন, আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের ফ্যাসিবাদ কায়েম করার জন্য অনেক উপাদান কাজ করেছে। অনেকে হয়ত সেগুলো সমর্থন দেননি, কিন্তু কেউ বিরোধিতা করতে পারেননি। এর ফলে যখন একটা ন্যারেটিভ দাঁড় করানো হয়, তখন সেটা প্রতিষ্ঠিত হতে বাধ্য। কিন্তু ন্যারেটিভটা ভুল নাকি সঠিক, সেটার সিদ্ধান্ত দেবেন আপনারা। আপনারা যাচাই করে দেখবেন সেটা সত্য কিনা।

‘২০০৮ সালে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারা ফ্যাসিবাদ কায়েমের জন্য অনেক কিছুকেই বাধা মনে করেছিল। প্রথমেই বিডিআর বিদ্রোহের নামে সেনা হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আর দ্বিতীয় বাধা মনে করেছে ছাত্র শিবিরকে। এজন্যই প্রথম থেকেই ছাত্র শিবিরকে আক্রমণ করেছে। দেশব্যাপী এমন কোনো লেয়ার নেই, যেখানে শিবিরকে আক্রমণ করা হয়নি। তৃণমূল পর্যায়ে দেখেছি, অনেকে নামাজ পড়ছেন, সেখান থেকে ধরে নিয়ে বলা হয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। একটা ছাত্র সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতিকে বিনা অপরাধে টানা ৫৬ দিন রিমান্ডে রেখেছে। কেউ কিছু বলতে পারেনি’, যোগ করেন এস এম ফরহাদ।
 
তিনি বলেন, ছাত্র শিবিরকে থামাতে ফ্যাসিবাদ দুটি কাজ করেছে। প্রথম হচ্ছে শিবিরের কেন্দ্রীয় অফিস থেকে ওয়ার্ড অফিস পর্যন্ত সিলগালা করে শিবিরকে কাজ করতে দেয়নি। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, শিবিরের ব্যাপারে ভীতি তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিচয় ঘোষণার পর শিক্ষার্থীরা কাছে ফ্যাসিবাদের মিথ্যা বয়ান ভেঙে গেছে। কারণ আমি তো তাদের সঙ্গেই বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছিলাম। আমার ব্যক্তিত্ব, আচরণ যারা বিশ্লেষণ করার সুযোগ পেয়েছেন, তাদের নতুন করে নেতিবাচকভাবে ভাবার কোনো সুযোগ নেই। তারাই অনলাইনে ফিডব্যাক দিচ্ছে। আমাদের ব্যক্তিত্বের ব্যাপারে ঢাবিতে ৯০ শতাংশ পজিটিভ ফিডব্যাক পাবেন। ফ্যাসিস্টদের এতদিনের বয়ানকে মিথ্যা হিসেবেই সবাই গ্রহণ করেছেন তারা।
 

শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে জানিয়ে ঢাবি শিবির সেক্রেটারি বলেন, ‘ছাত্রলীগ বা ছাত্রদলের ক্ষেত্রে কমিটিতে কে থাকবে, সেটা তাদের একটা অরগানাইজেশন ঠিক করে দেয়। কিন্তু শিবিরের কমিটি ঘোষণা বা বিলুপ্ত শিবিরের নিজের। শিবিরের অধীনস্ত জনশক্তি সিদ্ধান্ত নেয় সভাপতি কে হবে। সেটা বিবেচনা করে ব্যক্তিত্ব ও সক্ষমতা বিবেচনায়। তারাই বলে ওমুককে আমরা সভাপতি হিসেবে চাই। শিবির একটা স্বাধীন সংগঠন। নিজস্ব গঠনতন্ত্র এবং ফ্রেম ওয়ার্ক আছে। সেটা ওপেন। অনলাইনে সার্চ করলেই পাবেন। সেই অনুযায়ীই কাজ করা হয়।’



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS