আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব বিদ্যাদেবী সরস্বতী পূজা । সনাতন ধর্মমতে, জ্ঞান ও বিদ্যার অধিষ্ঠাত্রী দেবী সরস্বতী ভক্তদের মানবীয় চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে প্রতিবছর ধরাধামে আবির্ভূত হন।
সরস্বতী জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী। এ জন্য ভক্তরা, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে সরস্বতী পূজার আয়োজন করে থাকে। এ উপলক্ষে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
বুধবার দুপুর ১২টা ৪ মিনিটে শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথি শুরু হয়েছে। তিথি শেষ হবে আজ সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে। হিন্দু শাস্ত্রমতে এ দিনটিতে দেবী সরস্বতী জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সরস্বতী জ্ঞান ও বিদ্যার দেবী। এ জন্য ভক্তবৃন্দ, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে সরস্বতী পূজার আয়োজন করে থাকে।
শাস্ত্র মতে, প্রতিবছর মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে শ্বেতশুভ্রা কল্যাণময়ী বিদ্যাদেবী সরস্বতীর আরাধনা করা হয়। শ্বেতশুভ্র বসনা সরস্বতী দেবীর এক হাতে বেদ, অন্য হাতে বীণা থাকে। এ জন্য তাকে বীণাপাণিও বলা হয়। তাকে ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আঁধার হিসাবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আরাধনা করেন।
রাজধানী ঢাকাসহ দেশজুড়ে আয়োজন করা হয়েছে পূজার, ঢাকা-ঢোল-কাঁসর, শঙ্খ ও উলুধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠবে দেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপ।
পঞ্জিকা মতে, ঐশ্বর্যদায়িনী, বুদ্ধিদায়িনী, জ্ঞানদায়িনী, সিদ্ধিদায়িনী, মোক্ষদায়িনী এবং শক্তির আধার হিসেবে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সরস্বতী দেবীর আরাধনা করেন।
সরস্বতী পূজা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঘরে ঘরে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকায় বিভিন্ন এলাকা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পূজার আয়োজন হলেও সরস্বতী পূজার প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল মাঠ। কিন্তু এবার করোনার কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সেই উৎসবমুখর পরিবেশে আর হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।