বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে চান কাতার

প্রকাশিত: মে ২৪, ২০২৩, ০৩:৫৯ দুপুর
আপডেট: মে ২৪, ২০২৩, ১০:১৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জাসিম আল থানি।

মঙ্গলবার (২৩ মে) কাতারের র্যাফেলস টাওয়ারের দ্বিপাক্ষিক সভা কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী।

পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কাতার বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তারা বাংলাদেশের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও অগ্রসর করে নিয়ে যেতে চায়। কাতারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের কাছে জ্বালানি সহায়তা চান।

আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, আমরা আপনাদের কাছ থেকে অনেক জ্বালানি ক্রয় করি। আমরা জ্বালানি বিষয়ে কাতারের সহায়তা চাই। এ প্রসঙ্গে তারা (কাতার) অঙ্গীকার করেছে যতটুকু যেভাবে সম্ভব তারা সহায়তা করবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, কাতার প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, কাতারে বাংলাদেশের অনেক লোক কাজ করে। এ বিষয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মানুষগুলো তাদের সম্পদ।

ফুটবল বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর কাতারে অনেক প্রবাসীর চাকরি হারানোর আশঙ্কার কথা জানিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে আতঙ্কিত ফুটবল খেলা শেষে তাদের চাকরি চলে যাবে। এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাঙালিরা এখানেই থাকবে। তারা আমাদের বন্ধু, তারা আমাদের সহযোগী। আমরা যতদূর পারি তাদেরকে আমরা আমাদের দেশে রাখবো।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা (কাতারের প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাস) আমাদের প্রবাসীদের জন্য খুব ভালো বিষয়।
পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালীন আবাসস্থল লুসাইল সিটির হোটেল ওয়ালডর্ফ অ্যাস্তোরিয়ায় তার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন কাতারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী সাদ বিন শেরিদা আল কাবি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন জানান, এ বৈঠকেও জ্বালানি ইস্যুটি নিয়ে আলাপ হয়েছে। কাতার থেকে জ্বালানি নেয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে কাতার থেকে জ্বালানি নেয়ার বিষয়ে ১৫ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি করে বাংলাদেশ। সেই চুক্তিটি অত্যন্ত সুদূর প্রসারী এবং বুদ্ধিমানের কাজ ছিল।

জ্বালানির ক্রয়ের ক্ষেত্রে মূল্য ছাড় বিষয়ে আলাপের কথা জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাতার বলেছে বাংলাদেশ বন্ধু দেশ, দুর্দিনের সময় বাংলাদেশ তাদের পাশে ছিল। সুতরাং তারা যত ধরনের ছাড় দেয়া যায় তা দেয়ার অঙ্গীকার করেছে।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়