ভিডিও

নওগাঁয় স্বামীর লাগানো আগুনে দগ্ধ গৃবধূর ৮ দিন পর মৃত্যু

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ১০:৩৭ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২৪, ১০:৩৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় যৌতুকের জন্য স্বামীর দেওয়া কেরোসিনের আগুনে দগ্ধ হয়ে ফজিলাতুন নেছা (২৪) নামে এক গৃহবধূ টানা ৮ দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে মারা গেছেন। গতকাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে সদর উপজেলার ভবানীপুর মধ্যেপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ফজিলাতুন নেছা সদর উপজেলার কোমইগাড়ী সাকিদার পাড়ার ফজলুর হোসেনের মেয়ে এবং একই উপজেলার ভবানীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানীর স্ত্রী। ফজিলাতুন নেছার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা ফজলুর হোসেন।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে চার বছর আগে সদর উপজেলার ভবানীপুর মধ্যপাড়া গ্রামের আতোয়ার রহমানের ছেলে গোলাম রাব্বানীর সাথে বিয়ে হয় ফজিলাতুন নেছার। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরই পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে গোলাম রাব্বানী। বিষয়টি তার স্ত্রী জানতে পেরে নিষেধ করলে পরকিয়া করবেন না বলে যৌতুক বাবদ সাড়ে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন।

এরপর থেকেই স্ত্রী ফজিলাতুন নেছাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন তার স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকালে আবারও তাকে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসার জন্য বলা হয়। এসময় টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে লাঠি দিয়ে শরীরে বিভিন্ন জায়গায় এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন স্বামী গোলাম রাব্বানী।

একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার পরিবারের সদস্যদের রাব্বানীর পরিবারের যোগসাজসে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার স্বামী গোলাম রাব্বানী। পরে তার চিৎকারে এলাকাবাসী এসে তাকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

পরে চিকিৎসকের পরামর্শে প্রথমে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ৮ দিন পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এদিকে এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা ফজলুর হোসেন বাদি হয়ে গোলাম রাব্বানীসহ তার পরিবারের ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করলে স্বামী গোলাম রাব্বানীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল হক বলেন, ওই গৃহবধূ মারা যাওয়ার বিষয়টি আমরা শুনেছি।

এ ঘটনায় থানায় পূর্বেই একটি মামলা হওয়ার পর তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। থানায় দায়ের করা মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়ে যাবে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তি আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS