বগুড়ায় এশিয়া সুইটস’র পরিচালক টুটুলের বাড়ি থেকে বন্দুক ও গুলি উদ্ধার
স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শহরের সুত্রাপুরে এশিয়া স্ইুটস মিটস’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নূরুল আলম টুটুলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি এসবিবিএল একনালা বন্দুক, ৬৬৩ রাউন্ড গুলি ও একটি অস্ত্রের লাইসেন্স উদ্ধার করেছে।
গতকাল শুক্রবার রাতে শহরের সুত্রাপুর ডা. ইছাহাক উদ্দিন লেনে ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়। লাইসেন্সকৃত অস্ত্র সরকার ঘোষিত নির্দিষ্ট সময়ে জমা না দিয়ে নিজের হেফাজতে রাখায় বন্দুক ও গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে সদর থানায় নূরুল আলম টুটুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে, আজ শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা শহরের উত্তর চেলোপাড়ায় কাউছারের বাড়ির পাশে জঙ্গলের ভিতর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তিনটি ধারালো অস্ত্র ও একটি খেলনা পিস্তল উদ্ধার করেছে। ধারালো অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি বার্মিজ চাকু, একটি ড্যাগার ও একটি হাসুয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে সুত্রাপুর ডা. ইছাহাক উদ্দিন লেনে নূরুল ইসলাম টুটুলের বাড়িতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সেনা বাহিনী, র্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে গড়া যৌথবাহিনী অভিযান চালায়।
অভিযানকালে টুটুলের বাড়ির দোতলায় তার শয়ন কক্ষ থেকে ওই একনালা বন্দুক, ৬৬৩ রাউন্ড গুলি ও একটি অস্ত্রের লাইসেন্স উদ্ধার করা হয়। তবে আগেই ব্যবসায়ী টুটুল পালিয়ে যান। এ ব্যাপারে টুটুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুনউল্লেখ্য, গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার কথা থাকলেও বগুড়ার ১০৫ জন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিতে ব্যর্থ হন। অস্ত্র জমাদানে ব্যর্থ হওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র উদ্ধারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান সংস্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের নির্দেশনা মোতাবেক ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি হতে এবছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত বগুড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেসি হতে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য প্রদত্ত সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স (কর্মরত সামরিক-অসামরিক কর্মকর্তা ব্যতীত) স্থগিত করে গণবিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী লাইসেন্সভুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ গত ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লাইসেন্স গ্রহীতার স্থায়ী ঠিকানার থানায় অথবা বর্তমান বসবাসের ঠিকানার নিকটস্থ থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অস্ত্র জমা না দিলে তা অবৈধ অস্ত্র হিসেবে গণ্য করে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হবে। এ অবস্থায় বগুড়ায় ওই সময়ের মধ্যে ১০৫ জন অস্ত্রধারী অস্ত্র জমা দেননি।
মন্তব্য করুন