স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শহরের টিটু মিলনায়তন মোড় থেকে সেউজগাড়ী আমতলা পর্যন্ত সড়কটি দৈর্ঘ্য প্রায় এক কিলোমিটার। জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির ভাড়াচোরা দীর্ঘদিনের। অথচ সড়কটি সংস্কারে কারো কোন গরজ নেই।
শহরের পানির ট্যাংকি লেন নামে পরিচিত সড়কটি। অতি গুরুত্বপূর্ণ বগুড়ার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ, পৌর ও সেন্ট্রাল স্কুল, সাথে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উডবার্ন পাবলিক লাইব্রেরিসহ বিশাল এক জনগোষ্ঠীর আবাসিক এলাকাও এটি। ভাঙাচোরা সড়কটি দিয়ে যাতায়াতকারীদের দুর্ভোগ দীর্ঘ দিনের। এই দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হয়েছে।
সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কের গভীর গর্তে পানি জমে এখন তা মরণ ফাঁদে পরিণত হয়। সড়কটি এড়িয়ে বিকল্প পথ ব্যবহারেরও সুযোগ থাকলেও তা আরও দীর্ঘ হয়। ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে স্থবিরতা এসেছে ওই এলাকার মানুষের জীবন যাপনে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটির বেশিরভাগ অংশের কার্পেটিং উঠে গেছে। বর্তমানে সড়কটি এমন অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে খানাখন্দক, এবড়োথেবড়ো, ভাঙ্গাচোরায় যানবাহন বিকল হয়ে রাস্তায় আটকে থাকছে। কার্পেটিং উঠে রাস্তার ইটের খোয়া বেড়িয়ে কোথাও কোথাও এত গভীর গর্ত হয়েছে যে, যানবাহন চলাচলের এবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
রাস্তা খারাপ হওয়ায় বেশিরভাগ যানবাহন এ রাস্তায় আসতে চায় না। এই এলকার হাজার হাজার মানুষ সড়কটি দিয়ে বগুড়ার মূল শহরে প্রবেশ করেন। অথচ এমন দুর্ভোগেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের নজর পড়েনি সড়কটিতে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় সড়কটি বর্তমানে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তবুও প্রয়োজনে ঝুঁকি নিয়েই সড়কটি দিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
জানতে চাইলে বগুড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদুল বারী এরশাদ দৈনিক করতোয়াকে বলেন, ছ’মাসেরও বেশি হলো সড়কটি সংস্কার করা হয়, তবে আবার তা নষ্ট হয়ে গেছে। আসলে সড়কটির দুর্ভোগের স্থায়ী সমাধান করা প্রয়োজন, কিন্তু পর্যাপ্ত বাজেট না থাকায় এখনই তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে শহরের বেশকিছু সড়ক পূজোর আগে সংস্কার করা হবে, তখন সড়কটি সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।