কুমিল্লার বরুড়ায় রাস্তা থেকে এক গৃহবধূকে (২২) তুলে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজনকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বরুড়ার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো– আড্ডা এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে মো. মানিক (৩৩), দুলাল মিয়ার ছেলে মো. রুবেল (২৮) ও বাচ্চু মিয়ার ছেলে মো. বাপ্পি (২৫)।বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম মো. রুবেল (২৮)। তিনি উপজেলার আড্ডা এলাকার বাসিন্দা।
এজাহারে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকেন। কয়েক দিন আগে স্বামীর বাড়ি একই উপজেলার আড্ডা গ্রাম থেকে বেওলাইনে বাবার বাড়িতে আসেন। মঙ্গলবার দুপুরে ভাইয়ের মেয়ে ও বোনের মেয়েকে মাদ্রাসা থেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার জন্য আড্ডা বাজারের উত্তর পাশের সড়কে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অভিযুক্ত তিন বখাটে এসে নাম-পরিচয় জানতে চায় এবং সঙ্গে থাকা দুই শিশুকে সড়কের পাশের একটি ভবনের সিঁড়িতে চকলেট দিয়ে বসিয়ে রাখে। পরে ওই নারীর মুখ চেপে ধরে তারা পাশের একটি নলকূপের ঘরে নিয়ে হাত বেঁধে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এ সময় তারা মোবাইল ফোনে ভিডিও করে এবং ঘটনার কথা কাউকে বললে ফেসবুকে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরদিন বিকেলে ওই নারী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
বরুড়া থানার ওসি কাজী নাজমুল হক বলেন, অভিযুক্ত রুবেলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।