ভিডিও

বগুড়ার ধুনটে জমিদাতার ওয়ারিশদের বিরুদ্ধে মাদ্রাসা উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ

প্রকাশিত: অক্টোবর ০২, ২০২৪, ০৬:৫২ বিকাল
আপডেট: অক্টোবর ০২, ২০২৪, ০৬:৫২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় ধামাচামা স্বতন্ত্র এবতেদায়ী মাদ্রাসার জায়গা দখলে নিয়ে উচ্ছেদ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমিদাতার ওয়ারিশদের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তারা মাঠে বাঁশ ও নেটের বেড়া দিয়ে সেখানে গাছের চারা রোপণ করে মাদ্রাসার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে।

এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার শিক্ষক বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।  অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামে ওই মাদ্রাসা ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত।

প্রতিষ্ঠাকালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা মাদ্রাসায় ৫২ শতক জমি দান করেন। এরমধ্যে ধামাচামা গ্রামের রহিম উদ্দিন মন্ডল মাদ্রাসার নামে ৮ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়েছেন। বর্তমান ১২ শতক জমির ওপর টিনের তৈরি মাদ্রাসার দু’টি ঘর দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে কর্মরত চারজন শিক্ষক মাদ্রাসার কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এদিকে মাদ্রাসার জমিদাতা রহিম উদ্দিন প্রায় পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন।

এ অবস্থায় প্রয়াত রহিম উদ্দিনের ছেলে ও নাতিরা ২৮ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা প্রাঙ্গণের ৮ শতক জমি দখলে নিয়ে বাঁশ ও নেটের বেড়া দিয়ে সেখানে চারাগাছ রোপণ করেছেন। ফলে যাতায়াতের পথ বন্ধ হওয়ায় মাদ্রাসার কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে। জামিদাতার ওয়ারিশরা তাদের জমি থেকে মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন। এছাড়া বাঁশের বেড়ার কারণে মাদ্রাসার মাঠের কোণে অবস্থিত নামাজ ঘরে মুসুল্লিদের যাতায়াতে চরমদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এ ঘটনায় মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক শাহ আলম বাদি হয়ে মঙ্গলবার ধুনট থানাসহ উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়ছেন। ওই অভিযোগে প্রয়াত রহিম উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন ও নাতি তানভীর আহম্মেদসহ ছয় জনকে আসামি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত তানভীর আহম্মেদ বলেন, প্রতিষ্ঠাকালে মাদ্রসার নামে আমার দাদা ৮ শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসার কোন কার্যক্রম না থাকায় আমাদের জমি আমরা দখলে নিয়েছি। ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল আলম বলেন, শিক্ষকের অভিযোগ পেয়ে সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্ষেত্রে এ ধরণের ঘটনায় আইনের ব্যাখ্যা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS