ভিডিও রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রেমের টানে কুমিল্লায় এলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী

প্রেমের টানে কুমিল্লায় এলেন ইন্দোনেশিয়ার তরুণী, ছবি: সংগৃহীত

মফস্বল ডেস্ক : প্রেমের টানে ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশে এসেছেন নাজিফা মুনজারিন সিনতা (২৫) নামের এক তরুণী। কুমিল্লার যুবক আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপুর (৩২) হাত ধরে বাংলাদেশে আসেন ওই তরুণী।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লা নগরীর হোটেল এলিট প্যালেসের কনভেনশন হলে দুজেনর বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসেন ওই যুবতী। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) রাতে কুমিল্লা নগরীর উইন্ড কনভেনশন সেন্টার ও পার্টি সেন্টারে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়। নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার মেডান রাজ্যের তেবিংতিংগি এলাকার বাসিন্দা উইলিয়াম সিনাগা ও মাসনিয়ার ডুলকের মেয়ে। সিনতা মালয়েশিয়ায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। জন্মলগ্ন থেকেই তারা খ্রিষ্টান ধর্মের অনুসারী ছিলেন। সিনতা বাংলাদেশে প্রবেশের পর ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। মুসলিম ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তাদের বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু কুমিল্লা নগরীর রেসকোর্স এলাকার আলহাজ্ব শামসুদ্দিন আহাম্মদ ও ফরিদা ইয়াসমিনের ছেলে।

বর আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবনে আছেন তিনি। সেখানে একটি কোম্পানিতে চাকরির সুবাদে পরিচয় হয় একই কোম্পানিতে কাজ করা সিনতার সঙ্গে। একপর্যায়ে ভালো বন্ধুত্ব হয় দু’জনের। পরে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ান দু’জন। সেই ভালোবাসাকে সত্যিকারের রূপ দিতে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন তারা। তিনি বলেন, সিনতা মালয়েশিয়া থাকলেও তার পরিবার ইন্দোনেশিয়ায় বসবাস করেন। সে তার পরিবারকে জানিয়েই বাংলাদেশে এসেছে এবং পরিবারের সম্মতিতেই আমাকে বিয়ে করেছে। কয়েকদিন বাংলাদেশে থাকার পর তারা ইন্দোনেশিয়ায় ফিরব আমরা। সেখানে গিয়ে সেদেশের রীতি অনুযায়ী আবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা পালন করা হবে তার পরিবারের পক্ষ থেকে। 

আরও পড়ুন

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপু আরও জানান, সিনতা খুবই ভালো মেয়ে। তার সাথে আমার দুই বছরের প্রেমের সম্পর্ক। তাকে জীবনসঙ্গীনি হিসেবে পেয়ে আমি খুবই ধন্য। আমরা যেন দাম্পত্য জীবনে সুখি হতে পারি সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।নাজিফা মুনজারিন সিনতা ইন্দোনেশিয়ার ভাষায় সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুবই আন্তরিক। আমি তাদের আতিথেয়তায় ভীষণ মুগ্ধ হয়েছি। এখানকার সবাই আমাকে আপন করে নিয়েছে। অপু পুরুষ হিসেবে অসাধারণ। সে অনেক কেয়ারিং একটা মানুষ। আমি ধন্য যে তাকে পেয়েছি।

আহাম্মদ উল্লাহ ইমতিয়াজ অপুর মা ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, বিদেশি মেয়েদের মনমানসিকতা এত সুন্দর হয়, এত আন্তরিক হয় সিনতাকে না দেখলে বুঝতে পারতাম না। সে আমার পুরো পরিবারের সাথে এডজাস্ট হয়ে গেছে খুব অল্প সময়ের মধ্যে। তিনি বলেন, আমরা মনেই হয় না আমার ঘরে নতুন বউ এসেছে, মনে হচ্ছে আমার একটি মেয়ে ঘরে এসেছে। আমার তিনটা ছেলে, কোনো মেয়ে নেই। আজকে থেকে সিনতা আমার মেয়ে হয়ে থাকবে। আল্লাহর কাছে শোকর যে তিনি আমার মনের মতো একটি মেয়ে মিলিয়ে দিয়েছেন।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আন্দোলনে হামলা-হুমকি-র‌্যাগিংসহ বিভিন্ন অপরাধে রাবির ৩৩ শিক্ষার্থীকে শাস্তি

ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫

আইনজীবী আলিফ হত্যা : তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ 

আজও খুব অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস

বাংলাদেশের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন ভারত 

সমালোচনার পর কমলো বিপিএল মিউজিক ফেস্টের টিকিটমূল্য