ভিডিও

সরকারি হাসপাতালগুলোতে অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রেসক্রাইব করা যাবে না

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ১০:২৮ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৫, ২০২৪, ১০:২৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজন ছাড়া রোগীদের জন্য বেশি দামে কিনতে হয় এমন অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ প্রেসক্রাইব না করার জন্য চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদের যথাসময়ে নিজ নিজ হাসপাতালে উপস্থিত এবং ইনডোরে ভর্তি রোগীদের ভালো ডায়েট (খাবার) নিশ্চিত করতেও বলা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয় আয়োজিত মাসিক সমন্বয় সভায় ওই নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী নগরীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই সমন্বয় সভায় বিভাগের ৮ জেলার সিভিল সার্জন, জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোর তত্ত্বাবধায়ক ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর স্বাস্থ্য এবং পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। সমন্বয় সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আনোয়ারুল কবীর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে কর্মরত চিকিৎসকদের যথাসময়ে কর্মস্থলে উপস্থিত না হওয়ার অভিযোগ ছিল। এসবের পাশাপাশি ওষুধ, বিশেষত অ্যান্টিবায়োটিকের ক্ষেত্রে হাসপাতালগুলোতে সরকার কর্তৃক সরবরাহ করা ওষুধের পরিবর্তে অনেক চিকিৎসক রোগীদের জন্য বেশি দামি অ্যান্টিবোয়োটিক প্রেসক্রাইব করা এবং ইনডোরে চিকিৎসাধীন রোগীদের যে খাবার সবরাহ করা হয় তা নিম্নমানের বলে অভিযোগ রয়েছে।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় আয়োজিত মাসিক ওই সমন্বয় সভায় উপস্থিত একাধিক জেলা ও উপজেলা হাসপাতালের প্রধান জানিয়েছেন, সভায় প্রতিটি হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের দুই বেলা অর্থাৎ দিনে এবং রাতে রাউন্ড (রোগী পরিদর্শন) নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া হাসপাতালগুলোকে সার্বক্ষণিক পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং প্রেসক্রিপশনে সরকারিভাবে সরবরাহ করা ওষুধ লিখতে বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি রোগীদের রোগ নির্ণয়ে যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা প্রয়োজন সেগুলো সক্ষমতা সাপেক্ষে হাসপাতালের ল্যাবে করানোর বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বগুড়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কাজী মিজানুর রহমান জানান, সমন্বয় সভায় যেসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো এরই মধ্যে কর্তব্যরত চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের অবহিত করা হয়েছে। বগুড়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পকিল্পনা কর্মকর্তা ডা. সামির হোসেন মিশু জানান, চিকিৎসা সেবার মান কীভাবে আরও উন্নত করা যায় সেগুলো নিয়েই সমন্বয় সভায় আলোচনা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS