জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে তুলির আঁচড়ে দেবী দুর্গাকে দৃষ্টিনন্দন করতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা
আক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি : শারদীয় দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে মন্ডপে মন্ডপে দেবী দুর্গা প্রতিমাকে দৃষ্টিনন্দন করার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎশিল্পীরা। এবছর উপজেলার ৩৭টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী ৯ অক্টোবর মহাষষ্ঠীতে দেবী দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পাঁচদিনের শারদীয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
উপজেলার বিভিন্ন মন্ডপে চলছে নানান প্রস্তুতি। সাজসজ্জা, আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল তৈরি ও ডেকারেশনসহ অন্যান্য কাজগুলো ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে। আক্কেলপুর পৌর শহরের রেল কলোনি স্টেশন রোড সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে কাজ করছেন বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার সড়তলা মহল্লার তন্ময় মালাকার।
তিনি বলেন, এবছর তিনি বিভিন্ন এলাকায় ১৩টি মণ্ডপে প্রতিমা তেরির কাজ নিয়েছেন। আকারভেদে প্রতিটি প্রতিমার পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ২৫ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। আক্কেলপুর কেন্দ্রীয় দুর্গা মন্দিরের পূজা কমিটির সভাপতি কমল চন্দ্র দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই মন্দিরে পূজা অর্চনা হয়ে আসছে।
আরও পড়ুনবিজয়া দশমীর দিন বিশাল মেলা বসে মন্দির প্রাঙ্গণে। মন্দিরটি তুলশী গঙ্গা নদীসংলগ্ন হওয়ায় প্রতি বছর নৌকায় দুর্গা প্রতিমাকে তুলে কয়েক কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করে সন্ধ্যায় বিসর্জন দেওয়া হয়।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. রাজেন্দ্র প্রসাদ আগরওয়ালা বলেন, এবার নলডাঙ্গাতে পূজা হচ্ছে না। পূজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আনসার ভিডিপি, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিটি মন্ডপে নিরাপত্তার জন্য স্বেচ্ছাসেবক থাকবে।
আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল ইসলাম জানান, মন্ডপগুলোতে নিরাপত্তা নিশ্চিত ছাড়াও প্রতিটি পূজা মন্ডপে পুলিশি টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিটি মন্ডপের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলে স্বেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশও থাকবে।
মন্তব্য করুন