গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ পৌর ভবনের সামনে ও কোচাশহর বাজার এলাকায় সড়কের বেহাল দশা
গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের কোচাশহর বাজার এলাকার বেহাল দশার কোন পরিবর্তন হচ্ছে না দীর্ঘদিনেও। এলজিইডির এই সড়ক সংস্কারের নামে বার বার অর্থ ব্যয় করেও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে দাবি স্থানীয়দের। পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে থাকে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকায় পাকাসড়ক ভেঙে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে।
একই অবস্থা গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার সামনের এলাকায়। বৃষ্টিতে পানি জমে থাকায় সড়কটিতে গর্ত হয়ে দুরাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মহিমাগঞ্জ-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে গোবিন্দগঞ্জ থেকে মহিমাগঞ্জ পর্যন্ত সড়কে মাঝে মধ্যেই মেরামত ও সংস্কারের নামে লাখ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।
কিন্তু কোচাশহর বাজার এলাকার প্রায় সাড়ে ৫শ’ মিটার সড়কের দুরাবস্থা লাঘবে কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমে কাদাপানি মারিয়ে চলাচল করতে হয় পথচারীদের। সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে হাঁটু পানি জমে যায়।
চলাচলকারীদের অভিযোগ কোচাশহর বাজারের বাসা-বাড়ি ও দোকানগুলো রাস্তার চেয়ে তুলনামূলক উচুঁ হওয়ায় এবং রাস্তার পানি নিষ্কাশনের কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় সড়কে বৃষ্টি এবং বাসতবাড়ির পানি জমে থাকে। এতে চলাচলকারী যানবাহন ও পথচারীরা কোচাশহরের বাজার এলাকা অতিক্রম করেতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুনএছাড়াও পৌর ভবনের সামনে পানি নিষ্কাশনের ড্রেন থাকলেও নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই সেখানে পানি জমে চরম দুর্ভোগের সৃষ্টি করছে। কোচাশহর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক জলাবদ্ধার কথা স্বীকার করে বলেন, কোচাশহর বাজার এলাকার এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে আশ্বাস ছাড়া কোন ফলাফল পাচ্ছেন না তারা।
এলজিইডি’র গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, অর্থ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। সড়কের দুরাবস্থা কাটাতে আরসিসি’র মাধ্যমে কোচাশহর ও পৌরসভার সামনে প্রায় ৭ মিটার সড়ক নির্মাণ করা হবে। প্রয়োজনীয় স্থানে ড্রেন নির্মাণের ব্যবস্থা থাকবে।
মন্তব্য করুন