ভিডিও

বগুড়া শহরের সপ্তপদী মার্কেটের করিডোর ভাড়ার ব্যবসা জমজমাট

প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৪, ১০:২৫ রাত
আপডেট: অক্টোবর ২২, ২০২৪, ০২:০২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সপ্তপদী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দের ছায়ায় বগুড়া শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে অবস্থিত সপ্তপদী মাকের্টের করিডোর এখন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের দখলে। মার্কেটের দোকানের অনেক মালিক তাদের ব্যবসা গুটিয়ে দোকান ভাড়া ও উপ ভাড়া দিয়ে লাখ টাকা কামাচ্ছে। মার্কেটে করিডোর ভাড়ার ব্যবসা এখন জমজমাট।

সপ্তপদী মার্কেটটি শহরের কেন্দ্রবিন্দুতে হওয়ায় এই মার্কেটে যে কোন পণ্যের বেচা কেনা ভালো হয়। এক সময় সোনার গহনা, কাপড় ও কসমেটিকস এর জন্য বিখ্যাত ছিলো এই মার্কেট। কালক্রমে সোনার গহনা, কাপড় ও কসমেটিকস‘র দোকান উঠে যায়। এখন পুরো মার্কেট ফটোকপি (জিরক্সকপি) ও মোবাইল এক্সসারিজ এবং সার্ভিসিংয়ের দোকানে ভরে গেছে।

মার্কেটের গ্রাউন্ড ফ্লোরে প্রতিটি দোকান অবৈধভাবে ভাগ করা হয়েছে। দোকানের সামনে করিডোর ভাড়া দিয়ে অবৈধভাবে টাকা কামাচ্ছে ব্যবসায়ীরা। একই ভাবে মার্কেটের ভিতর মুখরোচক খাবারের দোকান দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা কামাচ্ছে ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ।

মার্কেটের কয়েকজন ব্যবসায়ী আজ সোমবার (২১ অক্টোবর) এই প্রতিবেদকের কাছে অভিযোগ করে বলেছেন, মার্কেটের মূল ব্যবসায়ীদের সংখ্যা এখন কমে গেছে। মালিকেরা ব্যবসা বাদ দিয়ে তাদের দোকান ভাড়া দিয়েছে। আবার ভাড়াটিয়ারা তাদের দোকানের সামনে করিডোর ভাড়া দিয়ে অতিরিক্ত আয় করছে করিডোরে যারা মোবাইল সার্ভিসিংয়ের ব্যবসা করছেন তারা প্রতিদিন মূল দোকানীকে ৩শ থেকে সাড়ে ৩শ টাকা দিতে হয়।

প্রতিটি খাবারের দোকান থেকে প্রতিদিন ১শ টাকা করে নেওয়া হয়। এমনকি মার্কেটের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে যারা ব্যবসা করেন তারাও প্রতিদিন টাকা দেন। এদিকে করিডোর ব্যবসায়ীরা ভাড়া দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও নাম বলতে অস্বীকার করেন। করিডোর ভাড়া দিয়ে ব্যবসা করার কারণে মার্কেটের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন সাধারণ ব্যবসায়ীরা।

সপ্তপদী মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি এ এম বেলাল হোসেন ডালিম এ প্রসঙ্গে দৈনিক করতোয়া’কে বলেন, মার্কেটের কোন ব্যবসায়ী দোকানের সামনে করিডোর ভাড়া দেননি। ভ্রাম্যামাণ কোন দোকান থেকেও টাকা নেওয়া হয়না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS