শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বকসিসের টাকা না পাওয়ার ঘটনা নিয়ে শেরপুর পৌরসভার সচিব ও নাইটগার্ডের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা সোয়া তিনটার দিকে শহরের উত্তরসাহাপাড়াস্থ শেরপুর পৌরসভার কার্যালয় ভবনে সচিব ইমরোজ মুজিব ও নাইটগার্ড সন্তোষ সরকারের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যামের মাসিক সম্মানি ভাতার টাকা উত্তোলনের জন্য নাইটগার্ড সন্তোষকে ব্যাংকে পাঠানো হয়। তিনি টাকা উত্তোলন করে পৌরসভার কার্যালয়ে যান। এরপর সন্তোষকে কক্ষে ডেকে পাঠান সচিব ইমরোজ মুজিব। সেইসঙ্গে তার নির্দেশ ছাড়া ব্যাংকে যাওয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়।
একপর্যায়ে নাইটগার্ড সন্তোষের ওপর উত্তেজিত হয়ে উঠেন তিনি। পরে সচিব ইমরোজ মুজিব তার টেবিলে থাকা স্ট্যাপলার মেশিন সন্তোষকে লক্ষ্য করে ছুঁড়ে মারেন। এমনকি তাকে একটি চড়ও দেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। এসময় উপস্থিত অন্যান্য কর্মচারীরা দ্রুত এগিয়ে এসে তাদের ছাড়াছাড়ি করে দেন বলে জানান।
ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে পৌরসভার নাইটগার্ড সন্তোষ সরকার বলেন, পৌরসভার কাউন্সিলরসহ প্রত্যেক কর্মচারীর প্রাপ্ত চেকের টাকা উত্তোলন করে দিয়ে বকসিস কেটে নেন সচিব ইমরোজ মুজিব। কিন্তু এই চেকের টাকার বকসিস না পাওয়ায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। এমনকি তার কক্ষে ডেকে তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে অভিযোগ করেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পৌরসভার সচিব ইমরোজ মুজিব ‘মারধর বা ধস্তাধস্তির কোনো ঘটনা ঘটেনি’ শুধু এই কথা বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন। পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৌমেন্দ্র নাথ ঠাকুর শ্যাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি নাইটগার্ড সন্তোষকে ব্যাংকে পাঠিয়েছিলাম। এজন্য পৌরসভার সচিব সাহেব নাকি তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলে আমাকে জানিয়েছেন’।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র নাজমুল আলম খোকন বলেন, তাদের দু’জনের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীতে সেটি সমাধান হয়ে গেছে। এছাড়া তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।