সিরাজদিখানে পাষন্ড স্ত্রীর পরকীয়ার বলি হলেন স্বামী, স্ত্রী আটক

প্রকাশিত: জানুয়ারী ২৫, ২০২৩, ০৭:৫৫ বিকাল
আপডেট: জানুয়ারী ২৫, ২০২৩, ০৭:৫৫ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ইছামতী নদীর তীরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হওয়া যুবকেল লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম মোকসেদুর রহমান (৪০)। তিনি রাজধানীর গেন্ডারিয়ার মৃত মো. হাবিবুবল্লাহর ছেলে। পরকীয়া প্রেমের জেরে স্ত্রীর প্রেমিক ও সহযোগীরা যুবককে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ ইছামতীর তীরে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় স্ত্রী আসমা বেগমকে (৩৫) গত রোববার দিনগত রাতে ঢাকার গেন্ডারিয়া থেকে গ্রেফতার করেছে সিরাজদিখান থানা পুলিশ। আর হত্যাকান্ডের পরই সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছে প্রেমিক জাহিদ সরকার। সে জেলার সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের কালীপুর গ্রামের আনোয়ার সরকারের ছেলে।

সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২২ বছর আগে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ঠাকুর মল্লিক গ্রামের মৃত লতিফ সিকদারের মেয়ে আসমার সঙ্গে রাজধানীর গেন্ডারিয়ার মোকসেদুর রহমানের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রয়েছে ৩ সন্তান।

এদিকে গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে সিরাজদিখান উপজেলার চিত্রকোট ইউনিয়নের বরাম বাজার সংলগ্ন্ ইছামতি নদীর তীর থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় অজ্ঞাত পরিচয় যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মর্গে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ওইদিকে যুবকের স্ত্রী আসমা বেগম তার স্বামী নিখোঁজ রয়েছে মর্মে রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। ওই সাধারন ডায়েরী ও যুবকের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গনমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে পুলিশের তদন্তের যুবকের পরিচয় উঠে আসে।

সিরাজদিখান থানার ওসি এ. কে. এম মিজানুল হক জানান, যুবকের পরিচয় পাওয়ার পরই লাশ উদ্ধার নিয়ে নতুন মোড় নেয়। অধিকতর তদন্ত চলাকালে বেরিয়ে আসে নানা তথ্য। সন্দেহের তীরে থাকা যুবকের স্ত্রীকে আগের দিন রোববার রাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর সিরাজদিখান থানা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে যুবককে হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

তিনি আরও জানান, বিয়ের পর থেকেই স্ত্রী আসমাকে নিয়ে রাজধানীর গেন্ডারিয়ায় বসবাস করে আসছেন যুবক মোকসেদুর রহমান। গেন্ডারিয়াতে বসবাস করেন সিরাজদিখানের কালীপুর গ্রামের প্রেমিক জাহিদ সরকারের বোন। আর বোনের সঙ্গে সখ্যতার সূত্র ধরেই আসমার সঙ্গে পরিচয় হয় জাহিদের। এরপর বিদেশে পাঠানোর কথা বলে ঘনিষ্টতা গভীর হয়। পরবর্তীতে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন জাহিদ ও আসমা।

এদিকে, বিদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩ জানুয়ারী যুবক মোকসেদুরকে তার স্ত্রী সিরাজদিখানের প্রেমিকের কাছে পাঠান। নিজে থেকে যান ঢাকা গেন্ডারিয়ায়। যুবক সিরাজদিখানের কালীপুর গ্রামে জাহিদের বাড়িতে আসলে রাতে তাকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। ওষুধ খেয়ে অচেতন হয়ে পড়লে পরে ২ জনের সহযোগিতায় জাহিদ ওই যুবককে হত্যা করে হাত-পা বেঁধে লাশ নদীর তীরে ফেলে দেন ওই রাতেই। প্রেমিক জাহিদ গেলো ১১ জানুয়ারী সৌদি আরব পাড়ি জমিয়েছে বলেও জানান ওসি।

 

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়