মফস্বল ডেস্ক : ফেনীর দাগনভূঞায় ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে বারবার ধর্ষণের অভিযোগে দেলোয়ার হোসেন (৩০) নামে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করে। দেলোয়ার হোসেন উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর এলাকায় ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি ভুক্তভোগীর পরিবার তাকেও জানিয়েছে। সত্যতা পাওয়া গেলে দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয়রা জানান, বছর চারেক আগে দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। তিনি কৌশলে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া ও দুই সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চার বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন দেলোয়ার। দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে ওই গৃহবধূ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন। নানা অজুহাতে বেশ কয়েকবার ওই যুবলীগ নেতা গৃহবধূকে মারধরও করেন। দুই মাস আগে গৃহবধূর স্বামী দেশে ফিরে আসেন। স্বামীর কাছেও বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন গৃহবধূ। কিন্তু স্বামী দেশে আসার পরও যুবলীগ নেতার উৎপাত কমেনি।
পরে বাধ্য হয়ে স্বামীর কাছে বিষয়টি জানান। স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে বিষয়টি স্থানীয় মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকেও অবহিত করেন। গৃহবধূর স্বামী যুবলীগ নেতা দেলোয়ারকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে দেলোয়ার আরও ক্ষিপ্ত হন।
এ ব্যাপারে দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, আসামিকে মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ফেনীর আদালতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।