মফস্বল ডেস্ক:  অবশেষে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে এসে উপহারের গাড়ি গ্রহণ করলেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম। 

আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩টায় নরপতি গ্রামে এসে প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমানের কাছ থেকে তিনি গাড়ির কাগজপত্র ও চাবি গ্রহণ করেন।  নিজ বাড়িতে এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন এম মোখলিছুর রহমান। কয়েকশ মানুষের সামনে গাড়িটি হিরো আলমকে বুঝিয়ে দেন তিনি। তবে উপহারের এই গাড়িটি হিরো আলম নিজে ব্যবহার করবেন না, দরিদ্র রোগী ও লাশ বহনের কাজে ব্যবহার করবেন বলে জানিয়েছেন। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহারের জন্য দানের ঘোষণা দিয়েছেন হিরো আলম।

তিনি বলেন, ‘তিনি আমার ভাই। আমাকে একটি গাড়ি উপহার দিয়েছেন। আমি ব্যস্ত থাকার কারণে আসতে বিলম্ব হয়েছে। দেশ-বিদেশ থেকে অনেকেই আমাকে বলেছেন কেউ উপহার দিলে তা গ্রহণ করতে হয়। আমি উপহারের গাড়িটি গ্রহণ করেছি। কিন্তু এটির অবস্থা বেশি ভালো নয়। তবে যেমনই হোক, এটি আমি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে দান করে দিলাম। এটিতে নম্বর থাকবে। কেউ ফোন দিলেই সেটি চলে যাবে। অনেক গরিব, অসহায় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন। চিকিৎসা করানোর সুযোগ থাকে না। হাসপাতালে নিতে পারেন না। তাদের সেবার জন্য গাড়িটি ব্যবহৃত হবে।

চুনারুঘাট উপজেলার আব্দুল জব্বার একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের অধ্যক্ষ এম মোখলিছুর রহমান বলেন, ‘হিরো আলম আমার ভাই। বগুড়ার অনেক আলেম তার পক্ষে বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তাদের দেখেই তার প্রতি আমার ভালোবাসা জন্মায়। আমিও সিদ্ধান্ত নেই সিলেট থেকে তাকে যদি আমার গাড়িটি উপহার হিসেবে দিতে পারি তবে বগুড়াবাসী ভোট দিতে হয়তো আরও উদ্বুদ্ধ হবেন।’

হিরো আলমের আগমন উপলক্ষে নরপতি গ্রামের মখলিছুর রহমানের বাড়িতে সকাল থেকে সাজ সাজ বিরাজ করে। দুপুর আড়াইটার দিকে হিরো আলম অনুষ্ঠানস্থলে আসলে ব্যাপক করতালির মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়। চুনারুঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ বাহারের সভাপতিত্বে ‘সিলেটবাসীর পক্ষ থেকে প্রিন্সিপাল এম মখলিছুর রহমান কর্তৃক হিরো আলমকে নোয়াহ গাড়ি উপহার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মাননা ক্রেস্ট এবং গাড়ির চাবি ও কাগজপত্র গ্রহণ করেন হিরো আলম। 

হিরো আলম তার বক্তব্যের শুরুতেই মঞ্চ থেকে নেমে অতিরিক্ত মানুষকে নেমে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে বলেন, আমরা মঞ্চ ভেঙে পড়ার ভিডিও দেখেছি। তাই আমাদেরও যাতে সেরকম না হয়, সেজন্য অতিরিক্ত মানুষকে মঞ্চ থেকে নামতে হবে।