মফস্বল ডেস্ক: সিলেটের ওসমানীনগরে স্কুলছাত্রী দিপার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মেয়েটির প্রেমিক মো. ইমন (২২) কে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) বিকেলে তাকে আটক করা হয়। ইমন বালাগঞ্জ মধ্যবাজারের প্রান্ত বস্ত্রালয়ের কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) ভোরে উপজেলার তাজপুর ইউনিয়নের দুলিয়ারবন্দের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে দিপা রানী সিংহ (১৪) নামে ওই স্কুলছাত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ পাওয়া যায়। সে কুমিল্লার বরুড়া থানার তলা গ্রামের পীযুষ সিংহের মেয়ে ও তাজপুর মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারি মডেল উচ্চবিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। দিপা পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘ দুবছর ধরে তাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অরুণোদয় পাল ঝলকের বহুতল ভবনের চারতলায় বসবাস করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বুধবার রাতের খাবার খেয়ে পিতা পীযুষ সিংহের সঙ্গে একই কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে দিপা সিংহ। ভোর ৫টার দিকে পিতা পীযুষ ঘুম থেকে জেগে দেখেন মেয়ে পাশে নেই। ঘরের সদর দরজা খোলা। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পর পাশের নির্মাণাধীন একটি ভবনের ছাদে দিপার রক্তাক্ত মরদেহ খুঁজে পায় তার পরিবার। সকাল ১০টার দিকে সুরতহাল শেষ করে ময়নাতদন্তের জন্য দিপার মরদেহ সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
দিপার মামি বিথিকা দে বলেন, ‘দিপার মৃত্যুর পর জানতে পারি ইমন নামে এক ছেলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। একাধিকবার দিপা বালাগঞ্জে গিয়ে ইমনের সঙ্গে দেখাও করেছে। এছাড়া বালাগঞ্জের আরেকটি ছেলেও নাকি দিপাকে পছন্দ করে। এ নিয়ে ইমন ও সেই ছেলেটির মধ্যে দিপাকে নিয়ে ঝগড়াও হয়েছে।’
দিপার মা শিল্পী রানী সিংহ বলেন, ‘দিপা মারা যাওয়ার পর জানতে পারি তার সঙ্গে একটি ছেলে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সোমবার জানতে পারি আমাদের দিপা স্কুলে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত। কেন এবং কীভাবে কী হলো বুঝতে পারছি না। আমি দিপার এমন পরিণতির জন্য জড়িতদের শাস্তি চাই।’
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, সুরতহালে দেখা গেছে দিপার মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন, পেটের কিছু অংশ থেঁতলানো। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইমনসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।