মানবিক উদ্যোগ

জমকালো আয়োজনে এতিম মেয়ের বিয়ে

প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩, ১০:২৪ রাত
আপডেট: মার্চ ১৮, ২০২৩, ০৬:২২ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: ‘বাবাকে হারিয়ে খালার বাড়িতে লালন পালন হওয়া এতিম মেয়ে রিমা খাতুনের বিয়ে দিলেন ব্যবসায়ী রুহুল আমীন রুবেল। জমকালো আয়োজনে এতিম মেয়ের বিয়ে সারা ফেলেছে ওই এলাকায়। রিমার বাবার মৃত্যুর পর বাবার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল ঝুপড়ি ঘরে থাকতেন রিমা ও তার মা। পরে রিমা খালার বাড়িতে বসবাস শুরু করে। এতিম এই মেয়ের বিয়ে নিয়ে চিন্তায় ছিলেন তা মা।

কিন্তু গতকাল বৃহস্পতিবার সব চিন্তুার পরিসমাপ্তি ঘটল। জমকালো আয়োজনে রিমা খাতুনের বিয়ের আয়োজন করেন ব্যবসায়ী রুহুল আমীন রুবেল। রুবেল এ পর্যন্ত ৬৫জন গরীব অসহায় এতিম মেয়ের বিয়ে দিলেন। বিয়ে উপলক্ষে আলোকসজ্জা, গেট, কনে ও বরের স্টেজ, কনে সাজানোর জন্য বিউটিশিয়ান, ভিডিও ধারণ-কোনো কিছুরই যেন কমতি ছিলো না লালপুর উপজেলার কদমচিলান ইউনিয়নের পালোহারা গ্রামের এতিম মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে।

সাজসজ্জার পাশাপাশি বরযাত্রীসহ আমন্ত্রিত প্রায় ২০০ অতিথিকে উন্নতমানের খাবারের পাশাপাশি চাইনিজ খাবারও পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে এতিম মেয়ে রিমাকে তুলে দেওয়া হয় স্বামীর হাতে। স্থানীয়রা জানান, বেশকিছুদিন আগে বড়াইগ্রাম উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মানবিক ব্যক্তিত্ব মোঃ রুহুল আমীন রুবেলের সন্ধান পান রিমার মা। পরবর্তীতে রুহুল আমীন রুবেল ১৫ মার্চ হলুদ সন্ধা ও ১৬ মার্চ বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে বলেন তার মাকে।

বিয়ের যাবতীয় খরচ তিনি দিবেন বলে জানিয়ে দেন। মা রেহেনা বেগম খুশি হয়ে বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করেন। গতকাল বৃস্পতিবার দুপুরে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখে মনে হচ্ছিলো কোন বিত্তশালী ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান। বরযাত্রীরা আসলে তাদের আপ্যায়ন করা হয়। রিমার পাশ্ববর্তী পুকুর পাড়া গ্রামের রহমান আলীর ছেলে মোঃ পলাশ আলীর সাথে রিমার বিয়ে হয়। তিনি রুপপুর ইপিজেডে চাকুরী করেন।

বিয়ের অনুষ্ঠানে রিমার মা রেহেনা বেগম জানালেন, কখনও ভাবেননি তার মেয়ের এত বড় আয়োজনে বিয়ে হবে। ব্যবসায়ী রুহুল আমীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। স্থানীয় ব্যক্তি মামুন হোসেন জানান, ‘ব্যবসায়ী রুহুল আমীন রুবেল এমন মানবিক কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি নিজেই রুবেলেয়র উদ্যোগে বিয়ে দেওয়া প্রায় ২০টি মেয়ের বিয়েতে অংশগ্রহণ করেছেন। তার এই মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকুক। বিয়ের অনুষ্ঠানের বাবুর্চি মোঃ আব্দুর রশিদ জানালেন, ‘দয়রামপুর বাজারে ভোজন বিলাশ নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্ট তিনি পরিচালনা করেন।

রুহুল আমীন রুবেলে এ পর্যন্ত ৬৫টি গরীব অসহায় মেয়ের বিবাহ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বিয়েতে তিনি রান্না করেছেন এবং রান্নার জন্য কোন রকম পারিশ্রমিক নেননি। কারণ এমন মানবিক কাজে অংশীদার হতে পেরে তিনিও আনন্দিত।’
ব্যবসায়ী রুহুল আমীন রুবেল বলেন, ‘মহান আল্লাহ পাকের অশেষ কৃপায় এ পর্যন্ত ৬৫টি মেয়ের বিবাহ দিতে পেরেছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়