রংপুরের টমেটো প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন থমকে গেছে

প্রকাশিত: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৮:৪৩ রাত
আপডেট: মার্চ ১৯, ২০২৩, ০৮:৪৩ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি: অর্থ মন্ত্রণালয়ের কতিপয় ব্যয় স্থগিত ও হ্রাসকরণের বেড়াজালে থমকে গেছে রংপুর বিভাগের তিন জেলার উৎপাদিত টমেটোর সংরক্ষণ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপণন উন্নয়ন কর্মসূচি। ৩ বছর মেয়াদের উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যাংকে জমা থাকলেও কবে নাগাদ কার্যক্রম শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারেনি।

এদিকে বছরের পর বছর ধরে মৌসুমে সংরক্ষণের অভবে দ্রুত পচনশীল টমেটোর বাজারমূল্য না পাওয়ায় কৃষকেরা গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য আশায় বুক বেঁধেছিলো। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের সহকারী পরিচালক মো: আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অর্থ ছাড় হওয়ার প্রথম ১ বছরের বেশি সময় উন্নয়ন কর্মসূচির ভবন নির্মাণসহ মূল কাজ শুরু করতে না পারার প্রথম কারণ হচ্ছে অনুমোদন দেয়ার সময় নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রথম বছরে প্রকাশনা ছাড়া অন্য কোন কাজে অর্থ ব্যয় করা যাবে না।

এছাড়াও প্রথম প্রকল্প পরিচালক যিনি স্বেচ্ছায় কাজটি ছেড়ে দেয়ায় কিছুটা বিলম্ব হয়েছে। রংপুর এবং দিনাজপুর আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০২১-২২ মৌসুমে রংপুর বিভাগে ৫ হাজার ৫৪৯ হেক্টর জমিতে টমেটো উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৬৯৫ মেট্রিকটন।

রংপুর বিভাগের তিন জেলার উৎপাদিত টমেটোর সংরক্ষণ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিপনন উন্নয়ন কর্মসূচির বর্তমান পরিচালক নিখিল চন্দ্র দে বলেন, বর্তমানে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কতিপয় ব্যয় স্থগিত ও হ্রাসকরণের কারণে আমাদের কর্মসূচি বন্ধ আছে। তবে এটি কর্মসূচি না হয়ে যদি প্রকল্প হতো তাহলে কাজ চলমান থাকতো কারণ কর্মসূচির টাকা আসে রাজস্ব থেকে।

রংপুর বিভাগীয় বেকারি মালিক সমিতির সভাপতি এবং রংপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালক মো: রিয়াজ শহীদ শোভন বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা দিয়েছেন এক ইঞ্চি জমি যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে। আবার বৈশ্বিক মহামারীর (কোভিড-১৯) সময় কৃষিই আমাদেরকে টিকে রেখেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়