নীলফামারী প্রতিনিধি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এসে নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে জনগণ সমুচিত জবাব দেবে। আওয়ামী লীগের অধীনে বিএনপি কোনো নির্বাচনে যাবে না, এমনকি নির্বাচন হতে দেবে না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আজ মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে নীলফামারী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধুর ম্যূরাল এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিএনপি নির্বাচন করবে কি করবে না এটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার মন্তব্য করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমি একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে মনে করি তাদের নিবাচন করা উচিৎ। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী মেয়াদ শেষে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ ষড়যন্ত্র কিংবা ক্যান্টনমেন্টের শক্তি দিয়ে আর ক্ষমতায় আসা যাবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা অতীতে দেখেছি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা ক্ষময়তায় এসেছিল কিংবা ক্যান্টমেন্টের শক্তির দিয়ে যারা ক্ষমতায় এসেছিল সেই সব সরকারকে আমাদের আদালত অবৈধ ঘোষিত করেছে এটা দেশের মানুষ জানে।
আইন ও আমাদের মানুষ বোঝে যে ক্ষমতার বদল করতে হলে তাকে জনতার রায় নিতে হবে। জনতার রায় সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই। আমরা মনে করি নির্বাচন কমিশন খুব শিগগিরই নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করবে। সেখানে তারা (বিএনপি) আসবে কি আসবে না সেটা তাদের ব্যাপার। আমি আগেই বলেছি; রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের নির্বাচনে আসা উচিৎ। আর তারা কি থ্রেট (হুমকি) দিল, এটা বাংলাদেশর মানুষ কোনদিনই এসমস্ত আস্ফালন কিংবা কোন কিছুই তোয়াক্কা করে না।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সব সময় পিচলাভিং, তারা সব সময় শান্তি চায়, সমৃদ্ধি চায়, উন্নয়ন চায় যেটা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেখিয়ে দিয়ে গেছেন। আমি সারাদেশে ঘুরে বেড়াই। সারাদেশের প্রতিটি জায়গার মানুষ মনে করেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন দেশ এগিয়ে যাবে।
কাজেই এ সমস্ত ভয়ভীতি দেখিয়ে বিএনপি নির্বাচন বানচাল করবে আর এদেশের মানুষ বসে থাকবে এটা কোন সুষ্ঠু কথা হতে পারে না। নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে এদেশের মানুষ বিএনপিকে সমুচিত জবাব দেবে। নীলফামারীর চিলাহাটী স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। আর বন্দর কর্তৃপক্ষ হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নয় এটির কর্তৃপক্ষ হচ্ছে নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে শুধুমাত্র ইমিগ্রেশন। এখানকার পোর্ট হলো আমাদের নৌ পরিবহণ মন্ত্রীর অধীনে। যে কোন পোর্ট স্থলবন্দর হোক কিংবা জলবন্দরই হোক সবই নৌ-পরিবহণমন্ত্রীর। আমার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে শুধু ইমিগ্রেশন। কাজেই নৌ পরিবহণমন্ত্রী যে দিনই বলবেন সে দিনই আমার মন্ত্রণালয় থেকে এখানে ইমিগ্রেশন চালু হয়ে যাবে। এরপর পুলিশ লাইন্সে মাঠে জেলা পুলিশ কর্তৃক আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান-পিপিএম এর সভাপতিত্বে এসব অনুষ্ঠানে নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর, নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, নীলফামারী-৩ আসেনর সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, রংপুরের অতিরিক্ত উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান, জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মমতাজুল হক, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমাণ্ডার কান্তিভূষণ কুণ্ডুসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।