আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভা এলাকায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গড়ে তোলা হয়েছে প্লাস্টিক ও পলিথিন রিসাইক্লিং (পুনঃব্যবহারের উপযোগী করে পণ্য তৈরি) কারাখানা বলে অভিযোগ উঠেছে। কারখানার রিসাইক্লিংয়ের জন্য রোদে শুকাতে দেয়া পলিথিনগুলো সামান্য বাতাসেই উড়ে যাচ্ছে পাশের বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও রাস্তায়।
ফলে এলাকাবাসীর বিরক্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে আশ-পাশের পরিবেশ। কারখানাটি সরজমিনে তদন্ত করে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন। জানা যায়, বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের আদমদীঘির সান্তাহার পৌরসভার হবীর মোড় এলাকায় লুকোপশ্চিম কলোনির জনৈক সোলায়মান সরদারের চাতাল ভাড়া নিয়ে গোপীনাথ সরকার নামে এক ব্যবসায়ী তার স্ত্রী উজ্জলা রাণী সরকারের নামে ‘জি এস প্লাস্টিক ফ্যাক্টারি’ নামকরণে পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে কারখানাটি চালু করেন। এই কারখানায় ১১ জন মহিলাসহ ২১ জন শ্রমিক কাজ করেন।
কারখানাটিতে পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক রিসাইক্লিং (পুনঃব্যবহারের উপযোগী করে পণ্য তৈরি) করা হয়। এসব কাজে ব্যহৃত পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিকগুলো পানিতে ধুয়ে পাশের খোলা জায়গায় রোদে শুকাতে দেয়া হয়। পলিথিনগুলো সামান্য বাতাসেই উড়ে যাচ্ছে পাশের বসতবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ফসলি জমি ও রাস্তায়। ফলে এলাকাবাসীর বিরক্তির পাশাপাশি নষ্ট হচ্ছে আশ-পাশের পরিবেশ। নেই কোন অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা।
পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক নেহাল আহম্মেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে কারখানাটিতে প্লাস্টিক ও পলিথিন উৎপাদন হওয়ায় সেখানকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়বে। তাই জনস্বার্থে এই কারখানাটি তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
কারখানা মালিক গোপীনাথ সরকার মোবাইল ফোনে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন না পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, কারখানাটির মেশিন জানুয়ারি মাসে স্থাপন করা হয়েছে। এখন পরীক্ষামূলক পানি সেচের প্লাস্টিক পাইপ ও অন্যান্য পলিথিন উৎপাদন চলছে। কারখানার পরিবেশ ছাড়পত্র নেয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে। তারা অল্প সময়ের মধ্যে তদন্ত করে ছাড়পত্র দিবেন বলে আশা রাখি।
আদমদীঘি ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ রুহুল আমীন জানান, ওই প্রতিষ্ঠানকে ফায়ার ল্যাইসেন্স দেওয়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু সেই সাথে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র ব্যবহার করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছিল। নিয়মনীতি লঙ্ঘন করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার জানান, ‘বিষয়টি তার জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেনি। তবে ছাড়পত্র ছাড়া কারখানাটি পরিচালনা করলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।