ফুলবাড়ীতে মেধাবী শিক্ষার্থী রিনা বাঁচতে চায়

প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২৩, ১১:১১ রাত
আপডেট: মে ২৩, ২০২৩, ১১:২৬ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী রিনা আক্তার (২৫)। স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষ করে ব্যাংকার হওয়ার। চাকরি করে দরিদ্র বাবা-মায়ের অভাবের সংসারে দুঃখ ঘোচানো। কিন্তু পড়ালেখার একপর্যায়ে মস্তিস্কে রক্তক্ষরণে (স্ট্রোক) পক্ষঘাতগ্রস্ত হয়ে তিনি এখন শয্যাশায়ী। বিছানায় শুয়ে শুয়ে তার দিন-রাত কাটছে।

রিনা আক্তার দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর এলাকার গৌরীপাড়ার থানাপাড়া এলাকার দিনমজুর রফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় কন্যা। ২০১৯ সালে সে স্ট্রোক করে। সে সময় রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরেন। পরে তার পায়ে ঘা দেখা দেয়। ওই ঘা ধীরে ধীরে পুরো পায়ে ছড়িয়ে  পড়েছে। একপর্যায়ে তার কোমর থেকে দুই পা প্যারালাইসড হয়ে যায়।

২০২১ সালে হুইল চেয়ারে বসেই উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হন, ফল ৩ দশমিক ৮৮। দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকতে থাকতে রিনা আক্তারের শরীরের পেছনে এক পাশে ঘা দেখা দেয়। ওই ঘা এখন শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। রিনার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি একজন দিনমজুর। আমার পক্ষে মেয়ের চিকিৎসার ব্যয় বহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

প্রতিবেশীসহ সরকারি সহায়তা নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করিয়েছি। এখন তো ভারতে নিয়ে যাওয়া দূরের কথা, ওষুধ কেনার সামর্থ্যও নেই আমার। তাই মেয়েকে চিকিৎসা চালাতে প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের কাছে আর্থিক সহযোগিতা চাই। সকলের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার মেয়েটাকে সুস্থ করার জন্য চিকিৎসার সুযোগ করে দিন।

রিনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগের মোবাইল ফোন নম্বর ০১৩১৫৭১৩১৪০। এই নম্বরেই তাকে বিকাশ এবং নগদে সহযোগিতা পাঠানো যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়