কুমিল্লা প্রতিনিধি : কুমিল্লার দেবীদ্বারে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মাদ্রাসায় দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার আটককৃত ওই ছাত্রকে কুমিল্লা ৪ নং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। ঘটনাটি ঘটে গত ১৯ মে দেবীদ্বার পৌর এলাকায় ভূষণা গ্রামে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে সকাল সাড়ে ১১টায় নিজ বাড়ির পুকুরপাড়ের নির্জন জায়গায় মাদ্রাসার ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে মো. মহিউদ্দিন নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রটি। ধর্ষণের পর শিশুটি কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি এসে তার মাকে ঘটনাটি জানালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ গত ২১ মে সংবাদ পেয়ে ভিক্টিমসহ তার পরিবারের লোকদের থানায় ডেকে নিলে ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মহিউদ্দিনকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেন । মামলার পর গত ২২ মে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভিক্টিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন কর হয় এবং কুমিল্লার ৪ নং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক মো. ওমর ফারুক ২২ ধারায় ভিক্টিমের জবানবন্ধি রেকর্ড করেন।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত সোমবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকা থেকে অভিযুক্ত মো. মহিউদ্দিনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন এবং আজ মঙ্গলবার আটককৃত ওই ছাত্রকে কুমিল্লা ৪ নং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওমর ফারুক অভিযুক্তকে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।
অভিযুক্ত মো. মহিউদ্দিন(২১) ভূষণা গ্রামের মো. নজরুল ইসলামের পুত্র। সে ঢাকা সাউথ ইষ্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র এবং ভিক্টিম স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
এ ব্যাপারে দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. খাদেমুল বাহার বিন আবেদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওই ঘটনায় ভিক্টিমের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অভিযুক্ত মহিউদ্দিনকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে কোর্ট হাজতে চালান করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।