ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের ৩৬৮ জন ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ নারীর সঞ্চয়ের প্রায় ৯ লাখ টাকার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। নিজের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও সচিবের পিছনে ধর্না দিয়েও টাকা ফেরত পাচ্ছে না ওই দুঃস্থ নারীরা।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ নারী দুই বছরে ২৪ বার ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করেন। চাল উত্তোলনের আগে ২শ’ টাকা করে ২৪ বার ব্যাংকে নিজস্ব সঞ্চয়ী হিসাবে টাকা জমা রাখেন। টাকা জমার চেক দেখে ইউনিয়ন পরিষদ তাদের ভিজিডি কার্ডের চাল দেয়।
ভিজিডি কার্ডধারী দুঃস্থ নারী মজিদা বেগম (৩৮), মেরিনা খাতুন (৩৯), আয়শা খাতুন (৩৪), আয়নাবী বেগম, ময়ূরী আক্তার, নুরনাহার বেগম অভিযোগ করে জানান, আমাদের কাছে ২শ’ টাকা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিডি’র চাল দেয়। চেয়ারম্যান ও সচিব বলেছে, তারা ব্যাংকে আমাদের টাকা জমা রাখে। এক বছর পর নতুন চেয়ারম্যান আসায় আমাদের আর টাকা জমা নেয় না।
এখন দুই বছর পার হয়েছে। আমাদের ভিজিডি’র মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু আমাদের জমানো সঞ্চয়ের টাকা ফেরত পাচ্ছি না। পুরাতন চেয়ারম্যান বলছে, টাকা ইউনিয়ন পরিষদে আছে। নতুন চেয়ারম্যান বলছে, তিনি কিছু জানেন না। আর সচিব দীর্ঘদিন হতে ইউনিয়ন পরিষদে আসে না। আমাদের টাকার কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না।
তৎকালীন চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি সব হিসাব-নিকাশ সচিবের কাছে জমা দিয়েছি। এখন পরিষদের কোন বিষয়ে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফিরোজ চেীধুরী জানান, সচিবকে দ্রুত দুঃস্থ নারীদের টাকা ফেরত দিতে বলেছি। তিনি টাকা ফেরতের ব্যবস্থা না করলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করা হবে।
ইউনিয়ন পরিষদে একাধিক দিন গিয়ে সচিব তারেক রহমানের দেখা পাওয়া যায়নি। তার সেলফোন নম্বরে কল করলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কল কেটে দেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি জানান, বিষয়টির সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।