শেরপুরে নিখোঁজের ৩৬ ঘন্টা পর নদীতে মিললো আ’লীগ নেতার মৃতদেহ

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ১২:৩২ রাত
আপডেট: মে ২৫, ২০২৩, ১২:৩২ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে নিখোঁজ হওয়ার ৩৬ ঘন্টা পর আওয়ামী লীগ নেতার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মহরম আলী খান (৪২)। আজ বুধবার (২৪ মে) দুপুরে উপজেলার সীমাবাড়ী ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে বহমান বাঙালি নদীর বগুড়া বাজার ব্রিজ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত মহরম আলী একই ইউনিয়নের টাকাধুকুরিয়া গ্রামের তায়েজ আলী খানের ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের ছোট ভাই। তিনি সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য। এছাড়া মহরম আলী ছাত্রজীবনে চান্দাইকোনা ডিগ্রি কলেজ সংসদের জিএসসহ ইউনিয়ন ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আজ বুধবার (২৪ মে) সকাল ৯টার দিকে বাঙালি নদীর ওপর নির্মিত বগুড়া বাজার ব্রিজের নিচে নদীর পানিতে একটি লাশ ভাসতে দেখতে পান। পরে থানায় সংবাদ দেওয়া হলে পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পাশাপাশি লাশটি মহরম আলী খানের বলে নাম, পরিচয় শনাক্ত হয়।

নিহত মহরমের বড় ভাই সীমাবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, গত সোমবার বিকেলে বাড়ি থেকে বের হন মহরম আলী খান। এরপর আর বাড়ি ফিরেননি। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় তাকে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কিন্তু তার কোন সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। পাশাপাশি তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়।

এরই মধ্যে আজ বুধবার (২৪ মে) সকালে নদীতে লাশ ভাসছে-এমন খবর পেয়ে সেখানে যাই। একপর্যায়ে উদ্ধারের পর লাশটি ছোট ভাই মহরম আলীকে শনাক্ত করি। ভাই আব্দুল মান্নান, বোন শিউলি আক্তারসহ পরিবারের সব সদস্যদের দাবি, পরিকল্পিতভাবে মহরম আলীকে খুন করে তার লাশটি নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। যাতে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা সম্ভব হয়।

আমরা এই হত্যকাণ্ডের বিচার চাই। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য উদঘাটনসহ খুনিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানান তারা। শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবু কুমার সাহা এ প্রসঙ্গে বলেন, বাঙালি নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মহরম আলীর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এই মুহূর্তে মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তের জন্য নিহতের লাশ বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়