বিকল্প ব্রিজ নির্মাণ না করায় বগুড়ার ফতেহ আলী ব্রিজ ভাঙার কাজ বন্ধ

অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণে সম্মত সড়ক বিভাগ

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ১২:৩৭ রাত
আপডেট: মে ২৫, ২০২৩, ০১:১৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহরের ভিতর দিয়ে রয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর উপর অস্থায়ী বিকল্প ব্রিজ নির্মাণ না করায় শাহ ফতেহ আলী ব্রিজ ভাঙার কাজ বন্ধ করে দিয়েছে পূর্ব বগুড়ার লোকজন। বিকল্প রাস্তা না করা পর্যন্ত ব্রিজ ভাঙা বা অপসারণ করা যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন এলাকার জন প্রতিনিধি।

এদিকে পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষে বগুড়ার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আমান উল্লাহ আমানের আলোচনার প্রেক্ষিতে বর্তমান ব্রিজের উত্তর প্রান্ত দিয়ে পায়ে চলার রাস্তা করার সিদ্ধান্ত হয়। পায়ে চলা রাস্তা না হওয়া পর্যন্ত ব্রিজ ভাঙার কাজ আপাততঃ বন্ধ রাখা হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার প্রায় ৫ বছর পর চলতি মাসের ২২ মে ব্রিজ পুনঃনির্মাণের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করার পর পরই ব্রিজ ভাঙার কাজ শুরু হয়। ভাঙ্গার অংশ হিসেবে ব্রিজের দুই পাশের রেলিং ভেঙে ফেলা হয়। এদিকে রেলিং ভাঙ্গা শুরুর পর পরই পূর্ব বগুড়ার লোকজন স্থানীয় ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাসের সাথে যোগাযোগ করেন। তারা বিকল্প সেতু না করা পর্যন্ত ব্রিজ ভাঙতে বাধা দেন। এরপর ব্রিজ ভাঙার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস জানান, ফতেহ আলী ব্রিজের উপর দিয়ে পূর্ব বগুড়ার সাথে জামালপুর জেলার একাংশের মানুষ উত্তরাঞ্চলের কেন্দ্রবিন্দু বগুড়া শহরে প্রবেশ করে। প্রতিদিন প্রায় এক লাখ মানুষ এই ব্রিজ ব্যবহার করে। বিকল্প ব্রিজ না হলে জনদুর্ভোগ হবে। তিনি বলেন, স্কুল কলেজসহ বহু প্রতিষ্ঠান রয়েছে ব্রিজের পশ্চিম পাশে। জনগণের দুর্ভোগের কথা মাথায় রেখে ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রেজাউল করিম ডাবলুকে সাথে নিয়ে আজ বুধবার (২৪ মে) দুপুরে ব্রিজ এলাকায় আলোচনা করেন।

আলোচনা কালে জনপ্রতিনিধি ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা একমত হন যে একটি বিকল্প সেতু প্রয়োজন। তবে স্থান নির্বাচন নিয়ে জটিলতা হলে ব্রিজের পশ্চিমপাশে নদীর তীরস্থ একটি মসজিদ ও মাদরাসার সিঁড়ি ব্যবহার করে অস্থায়ী ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এ ব্যাপারে মসজিদ ও মাদরাসা কমিটির নেতৃবৃন্দ জনগণের সুবিধার্থে মসজিদের সিড়ি ব্যবহারের অনুমতি দেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বগুড়ার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আমান উল্লাহ আমান জানান, বিকল্প ব্রিজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তিনি আরও জানান, বর্তমান ব্রিজের প্রায় দ্বিগুণ প্রশস্ত হবে নতুন ব্রিজ। এ কারণে ওই সড়কের দক্ষিণ পাশে ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। জাহাঙ্গীর হোটেলের কাছ থেকে ব্রিজ পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে। অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়