রঙ্গিন তরমুজ চাষে সফল কৃষক আরিফুল ইসলাম

প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ০২:৪৪ রাত
আপডেট: মে ২৫, ২০২৩, ০২:৪৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে রঙ্গিন তরমুজ চাষ করে সফল হয়েছেন কৃষক আরিফুল ইসলাম। ২০ শতক জমি থেকে প্রথমে ৩০ মণ তরমুজ উত্তোলন। ১৫ হাজার টাকা খরচ করে প্রথমেই বিক্রি ৬০ হাজার টাকা।

আরিফুল ইসলাম উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে। ছোটবেলা থেকেই তিনি কৃষিকাজের সাথে জড়িত। চাষ করেন কলা, পেঁপে, ভুট্টাসহ নানা ধরনের অর্থকরী ফসল। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে এ বছর তিনি তার ২০ শতক জমিতে হলুদ এবং কালো রংয়ের তরমুজ চাষ করেছেন।

গত ১৩ মার্চ তিনি তার জমিতে তরমুজের বীজ বপণ করেছিলেন। অল্প দিনেই তার তরমুজের গাছগুলো বড় হয়েছে। তার জমির মাচায় এখন দুলছে সারি সারি হলুদ এবং কালো রঙের তরমুজ। তরমুজগুলো এখন বাতাসে দোল খাচ্ছে। এ যেন এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। তার জমির এই নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে আশেপাশের গ্রাম থেকে লোকজন আসছেন একনজর দেখার জন্য।

তিনি জানান, তরমুজ চাষে জমিতে তেমন কোন পরিচর্যা তাকে করতে হয়নি। ২০ শতক জমিতে তার মাত্র ১৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এ ২০ শতক জমি থেকে তিনি ৩০ মণ তরমুজ উত্তোলন করেছেন। সাধারণ তরমুজের চেয়ে তিনি এ তরমুজ বেশি দামে বিক্রি করেছেন। ১ম তোলায় তিনি ৩০ মণ তরমুজ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

তিনি এখনো তার জমিতে আরও দুইবার তরমুজ উত্তোলন করার আশা করেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলার উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শফিউল আলম এবং জাহিদ হাসানের পরামর্শে আমার জমিতে সুইট ইয়োলো এবং ব্লাক বেবি জাতের রঙিন তরমুজ চাষ করে আমি সফল হয়েছি এবং বেশ লাভ পেয়েছি।

সারিয়াকান্দি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, এ উপজেলায় কৃষকেরা সাধারণত তরমুজ চাষের প্রতি তেমন কোন আগ্রহ নেই। কৃষকদের মাঝে তরমুজ চাষের আগ্রহ বাড়াতে সেখানে অসময়ের রঙ্গিন জাতের তরমুজ প্রদর্শনী আকারে করা হয়েছে।

তার মতো অসময়ে তরমুজ চাষ করে বাজারে ভালো দাম পেলে কৃষকরা এক বিঘা জমি থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়