রাণীনগরে মাচায় তরমুজ চাষ

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩, ০৭:৪৭ বিকাল
আপডেট: মে ২৬, ২০২৩, ০৭:৫৬ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর রাণীনগরে মাচা পদ্ধতিতে বারোমাসি তরমুজের চাষ বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চাষি জাহাঙ্গীর আলম প্রায় সাড়ে ৪ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষের পাশাপাশি লাউ, করলা, ঢেঁড়শ ও মিষ্টি লাউয়ের চাষ শুরু করা হয়। বাগানে দেখলে মনে হয় এ যেন মিশ্র জাতের চাষাবাদ।

সব ঠিকঠাক থাকলেও অতিরিক্ত খরার কারণে মধ্য সময়ে এসে তরমুজের গাছগুলো মরে যেতে শুরু করায় কৃষক জাহাঙ্গীর কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। তারপরও প্রথম দিকে রমজান মাসে যে পরিমাণ তরমুজ বিক্রি করেছেন দাম বেশি পাওয়ায় তিনি খুশি। গাছের ডোগায় এখনো যে পরিমাণ তরমুজ ঝুলছে আবহাওয়া ভালো থাকলে এবং বাজারজাত করতে পারলে লাভের পরিমাণ তার আরও বাড়বে বলে এমনটাই আশা করছেন চাষি জাহাঙ্গীর।

পাশাপাশি বাজারে বিক্রি করতে শুরু করেছেন লাউ, ঢেঁড়শ, করলা ও মিষ্টি লাউ। বাজারে ব্যাপক চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় দিন দিন লাভের পরিমাণও বাড়ছে। গত বছর স্বল্প পরিসরে এই তরমুজের চাষ করা হলেও ফলন তেমন ভালো না হওয়ায় হাল ছাড়েননি তিনি।

বিগত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে চলতি মৌসুমে উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে ঢাকার ইস্পাহানী ও যশোরের একটি দোকান থেকে হলুদ রঙের ব্ল্যাক বেবী ও সবুজ রঙের সুগার কিং জাতের বীজ নিয়ে তার নিজ জমিতে প্রায় ৩ মাস আগে বীজ বপন করেন।

বর্তমানে মাচার নিচে গাছের ডগায় ডগায় ঝুলছে তরমুজ। কৃষি বিভাগ বলছে মৌসুমী তরমুজ শেষ হলেই বারোমাসি এই তরমুজগুলো বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি পাবে। সব মিলিয়ে জাহাঙ্গীর তরমুজ ও অন্যান্য সবজি বিক্রি করে লাভবান হবেন এমনটাই ধারণা করছেন কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, উপজেলার পারইল ইউনিয়নের কামতা গ্রামের মৃত মজিবুর রহমানের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম জীবন জীবিকার তাগিদে ২০১১ সালে দক্ষিণ করিয়ায় যান। গত বছর দেশে ফিরে ধান চাষের পাশাপাশি পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথম দিকে দেড় বিঘা জমিতে মালচিং ও মাচা পদ্ধতিতে বারো মাসি তরমুজ চাষ শুরু করেন। গত বছর তরমুজ ভালো হওয়ায় এই মৌসুমে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমিতে তরমুজসহ বিভিন্ন সবজির চাষ করেন।

অতিরিক্ত খরার কারণে তরমুজ বিক্রি শেষ না হতেই গাছগুলো মরে যেতে শুরু করায় চাষি জাহাঙ্গীর কিছুটা উদ্বিগ্ন। দাম ও ফলন ভালো পাওয়ায় লাভ হবে বলে এমনটাই বলছেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার এনামুল হক বলেন, জাহাঙ্গীর ভাই একজন প্রগতিশীল পরিশ্রমী কৃষক। গত বছর থেকে সে মাচা পদ্ধতিতে তরমুজ চাষ করছেন।

তার ধারাবাহিকতায় এবার ও তরমুজ চাষ করেছেন। ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় সে লাভবান হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সকল ধরণের পরামর্শ ও সহযোগিতা আমরা দিচ্ছি। বর্তমানে সে প্রায় সাড়ে চার বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে এক চালান বিক্রি প্রায় শেষের দিকে। অতি খরার কারণে গাছ কিছু মরে গেছে। নতুন করে আবার চাষি জাহাঙ্গীর মালচিং পদ্ধতিতে তরমুজের চারা লাগানো শুরু করেছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়